আরও পড়ুন: কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে 'আলোচনা'? লোকসভায় তুমুল মতানৈক্য সরকার বিরোধী শিবিরে...
এদিন অধিবেশনের (Parliament Winter Session) শুরুতেই সরকারের তরফে স্পষ্ট করে হয়, কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল (Farm Laws Repealed) নিয়ে লোকসভায় আর কোনও আলোচনা চাইছে না সরকার। এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় তুমুল হইচই। একদিকে বিরোধীদের দাবি ছিল আইন প্রত্যাহার করার আগে আলোচনার সময় বরাদ্দ হোক।
advertisement
অন্যদিকে, সরকারের বক্তব্য, কৃষি আইন নিয়ে আগেই ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আইন প্রত্যাহারের(Farm Laws Repealed) সম্মতিও দিয়েছে। তাই আলোচনার প্রয়োজন নেই। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল সংসদে যে কোনও বিল পেশ হলে তা আলোচনার পরেই পাস করার নিয়ম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধ্বনিভোটে (Parliament Winter Session) পাস হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর আর্জিতে সাড়া দেবে সুপ্রিম কোর্ট? নন্দীগ্রাম মামলায় তাকিয়ে সব পক্ষ
বেলা ১২টায় অধিবেশনের ফের শুরু হতেই ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১’ পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। ধ্বনিভোটে তা সঙ্গে সঙ্গেই পাশ হয়ে যায়। বিরোধীরা কৃষি আইনের উপর আলোচনার যে দাবি করেছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে সরকার পক্ষ।
প্রসঙ্গত, অর্ডিনান্স জারি করে তিনটি কৃষি আইন আনে কেন্দ্র। শুরু থেকেই তার বিরোধিতা করেন কৃষকরা। হরিয়ানা, পঞ্জাব, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা পথে নামেন। যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে তাঁরা দিল্লি রওনা দেন। কিন্তু দিল্লির সীমানায় পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের। সেখানেই বসে পড়েন কৃষকরা। বিল প্রত্যাহারের ঘোষণার পরে এখনও পথেই বসে কৃষকরা। যদিও জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, প্রত্যাহার করা হবে তিনটি কৃষি আইন। কৃষকদের মন্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথায় কিছু হবে না। সংসদে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পথেই থাকবেন। পাশাপাশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা-সহ আরও একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরেন সরকারের কাছে।