তান্ত্রিক কিছু প্রতারণার পর যখন বুঝতে পারে পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে তখন মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়েটির মৃত্যুর পরও ক্ষান্ত হয়নি পরিবারের সদস্যরা, মৃত মেয়ের দেহ রাহলির কমিউনিটি হেলথ সেন্টার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অন্য এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যান তাঁরা এবং মেয়েকে বাঁচানোর জন্য কাকুতিমিনতি করেন।
advertisement
এই ঘটনা জানাজানি হতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। শনিবার রাতে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার রাহলি থানা এলাকার হিনৌতি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ১১ বছরের ওই বালিকার নাম বৈশালী আহিরওয়ার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে সকলে খাওয়াদাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রাত এক’টা নাগাদ মেয়েটি উঠে জল খেতে যায়। সেখানেই সাপে কামড়ায় তাঁকে। সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিষের প্রভাব শুরু হয়, মেয়েটি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে, বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অচলপুর গ্রামের এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায়। তান্ত্রিক পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিল মেয়ে ভাল হয়ে যাবে। এরপর ভোর চার’টে নাগাদ পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে অর্ধমৃত অবস্থায় নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসক চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মেয়েটি মারা যায়।
কিন্তু কুসংস্কারের মাত্রা এমনই যে, মৃত্যুর পরও পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস হয়নি। তারা মৃত মেয়েটির দেহ প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে বাদিপুরা নামে একটি গ্রামের অন্য তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায়, যেখানে মেয়েকে বাঁচানোর কথা বলছিলেন বারে বারে। গ্রামবাসীদের সাহায্যে পরিবারের তরফে মেয়েটির দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কমিউনিটি হেলথ সেন্টার রাহালির কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই রাহলির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং মেয়েটির দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।