নিহতরা হলেন মোইন, তার স্ত্রী এবং তাদের তিন সন্তান। পরিবারের এই সদস্যরা গতকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাদের বাড়িতেই মৃতদেহ পাওয়া গেছে। স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ চাদরে মোড়ানো অবস্থায় ছিল, আর বেড বক্সের ভিতরে ছিল শিশুদের মৃতদেহ।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কাণ্ড, অর্থের বিনিময়ে স্ত্রীকে অত্যাচারের সুযোগ করে দিল স্বামী! তারপর যা হল…
advertisement
৭০ গজের বাড়ি জুড়ে জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল এবং চারদিকে রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছিল। ফোনও বন্ধ ছিল। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা তালা ভেঙে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন, আর তখনই ৫ জনের মৃতদেহের সন্ধান মেলে।
আরও পড়ুন: স্কুল থেকে হাতে হাত রেখে বাড়ি ফিরছিল ভাই-বোন, ভীমরুলের আক্রমণে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু!
নিহতের ভাই সলিম জানান, “আমি আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখাতে গিয়েছিলাম। এরপর ভাই মোইনের বাড়ি আসি। গতকাল সকাল ১১টা থেকে মোইনের ফোন বন্ধ ছিল। আমরা পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে খোঁজ করেছিলাম, কিন্তু কোনও সন্ধান মেলেনি। বাড়ির গেট বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। আমরা প্রতিবেশীর ছাদ থেকে লাফিয়ে ভেতরে ঢুকি এবং তালা ভেঙে লাইট জ্বালিয়ে দেখি মৃতদেহগুলি ছড়িয়ে রয়েছে। বেডের ভিতরে ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রীর মৃতদেহ ছিল। বাড়ির জিনিসপত্রও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।”
নিহতের ভাতিজি তারান্নুম বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় ফোনে কথা হয়েছিল। সেটাও চাচার সাথেই। উনি ইটের কাজ করতেন।”
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ৫ জনেরই গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। লাশগুলি হত্যা করার পর বেডের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। শিশুদের মৃতদেহগুলি প্রথমে একটি বস্তায় ভরে বেঁধে রাখা হয়েছিল, তারপর বেড বক্সে লুকিয়ে ফেলা হয়।