তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন, সুরাটের বাসিন্দা রাসেশ গুজরাথি, আহমেদাবাদের বাসিন্দা বি কে রাওয়াত এবং তাদের সহযোগী ইরফান সাইয়েদ, ৭০ হাজার টাকায় জাল ব্যাচেলর অফ ইলেক্ট্রো-হোমিওপ্যাথি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (BEMS) ডিগ্রি বিক্রি করতেন। যারা তাদের নিজস্ব ক্লিনিক স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। যাতে গুছিয়ে প্রতারণার কাজ করা যায়৷
advertisement
র্যাকেটটি মূলত ‘বোর্ড অফ ইলেক্ট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন, আহমেদাবাদ’-এর আড়ালে গুজরাটী এবং রাওয়াত দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। দুজনেই প্রায় ১৫০০ জনের কাছে এই ধরনের জাল শংসাপত্র বিক্রি করেছে৷ এদের মধ্যে অনেকে এমনও আছেন যারা দশম শ্রেণি পাস করেই এখন ডাক্তার!
একটি পুলিশ রিলিজ অনুসারে, গুজরাটি গোপিপুরা এলাকায় ২০০২ সালে একটি কলেজ শুরু করেছিল এবং ইলেক্ট্রো হোমিওপ্যাথিতে তিন বছরের কোর্স অফার করেছিল। যাই হোক, কোর্সের জন্য ছাত্র খুঁজে না পাওয়ায় তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হন। তারপরে তিনি রাওয়াতের সংস্পর্শে আসেন এবং উভয়েই তাদের ক্লিনিক শুরু করতে চাইলে প্রত্যেকের কাছে ৭০ হাজার টাকায় জাল ডিগ্রি বিক্রি করতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের অনুষ্ঠানে মাছ নিয়ে চরম অশান্তি! মারের ভয়ে মণ্ডপ ছেড়ে পালাল বর
দুজনেই কোর্সে ভর্তির এক সপ্তাহের মধ্যে মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং আই-কার্ড প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন যে তারা এই ধরনের ডিগ্রির সাহায্যে এমনকি অ্যালোপ্যাথি এবং হোমিওপ্যাথি অনুশীলন করতে পারে।
রাওয়াত এই ধরনের জাল ডিগ্রিধারীদের নিবন্ধনের জন্য একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করেছিলেন, যাদের কখনও কোনও প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা দেওয়া হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এই দু’জন রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণের নামে তিন হাজার টাকা সংগ্রহ করত।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ১০টি ফাঁকা ডিগ্রী, ৩০টি নাম সহ ডিগ্রী, ১৬০টি আবেদনপত্র, ১২টি আইডি কার্ড এবং ১৬৩০ জন “ডাক্তার” এর এন্ট্রি-সহ একটি রেজিস্টার খুঁজে পেয়েছে৷