ফেসবুকের তরফে বলা হয়, করোনার কার্যকরী ভ্যাকসিন বানানোর ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতন বড় সংস্থা গুলি দাবি করেছে তাঁরাই প্রথম। তাই সেগুলি নিয়ে প্রামানিক তথ্য ছাড়া অন্য খবর প্রকাশিত হলে সেটি তৎক্ষণাৎ ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হবে।
সংস্থার কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গ জানান, ফেসবুক বিশ্বের সব চেয়ে বড় সামাজিক প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকেই ইউজাররা বিভিন্ন খবর পেয়ে থাকেন। তাই গ্রাহকদের প্রতি ফেসবুকের দায়বদ্ধতা রয়েছে। ভ্যাকসিন সম্পর্কে কোনও ভুল তথ্য তুলে দিয়ে জনগনকে বিব্রত করবে না ফেসবুক। এতে ফেসবুকের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে।
advertisement
তবে এখনও পর্যন্ত কোনও লিঙ্ক সরানো হয়নি ফেসবুক থেকে। শুধুমাত্র ভ্যাকসিনের কিছু অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। অতীতে পাকিস্তান এবং সামোয়াতে ভ্যাকসিন সম্পর্কে কিছু ভুয়ো খবর প্রচারের জন্য সেই লিঙ্ক গুলি ফেসবুক ডিলিট করে দিয়েছিল, তবে সেটি করোনার ভ্যাকসিন ছিল না।
চলতি বছরের শুরুতে ফেসবুককে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। কিছু বড় সংস্থা তাঁদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য এই সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নেন। যা একেবারেই কাম্য নয় সংস্থার মতে। এ ছাড়াও কিছু দিন আগে আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় ফেসবুককে রাজনীতি প্রচারের হাতিয়ার বানানো হয়। সেটিও ফেসবুকের জন্য ভাল বিষয় নয় বলে মনে করছেন একাংশ। তবে কীভাবে ভুয়ো তথ্য গুলিকে সরানো হবে এবং কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে ফেসবুক এখনই কিছু জানায়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া গুলির জন্য এটি একটি প্রশংসিত ও কঠিন পদক্ষেপ নিসন্দেহে।
Somosree Das