চার বছর আগে সোনালিকে বিয়ে করেছিলেন রাকেশ ৷ পেশায় আইটি ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন রাকেশ ৷ আর স্ত্রী সোনালি সামলাতেই সংসার৷ প্রথমে সব কিছুই ঠিক ছিল ৷ কিন্তু সন্তান হওয়া নিয়ে সমস্যা ছিল দু’জনের মধ্যে ৷ আর সেই সমস্যা যত দিন যাচ্ছিল মাথাচাড়া দিচ্ছিল ৷ এই সমস্যাই বিরোধ সৃষ্টি করছিল রাকেশ ও সোনালির মধ্যে ৷ তবে এই অশান্তির মধ্যেই দিন কাটছিল পুণের এই দম্পতি৷ অশান্তিতে অনুঘটক হিসেবে ঢুকে পড়ল ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ৷
advertisement
জানা গিয়েছে, স্ত্রী সোনালি দাম্পত্যের সব সমস্যাকে ফলাও করতেন সোশ্যাল নেটওর্য়াকিং ৷ রীতিমতো তা নিয়ে আলোচনা করতেন বন্ধুদের সঙ্গে ৷ স্ত্রী সোনালির এই অভ্যাসই পছন্দ হয়নি রাকেশের ৷ স্ত্রীকে বুঝিয়ে যখন কোনও কাজ হয়নি, তখনই স্ত্রীকে চরম শাস্তি দিলেন রাকেশ ৷ সোনালির শ্বাসরোধ করে হত্যা করলেন রাকেশ৷ নিজেও হলেন আত্মহাতী ৷
তাঁদের দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেখানেই রাকেশ জানিয়েছিল, স্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় অতি সরব হওয়ার কথা। নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্কে প্রায় সব কথাই ফেসবুকের বন্ধুদের বলে বেড়াতেন স্ত্রী সোনালি।