অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মাধব সদুরাও টিকেতি, যিনি বেঙ্গালুরুর আইআইটি থেকে এমটেক ডিগ্রিধারী। পুলিশের মতে, স্ত্রী’র বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহ এবং ক্রমাগত দাম্পত্য কলহের কারণে মাধব তার নিজের সন্তান হিম্মত-এর গলা কেটে হত্যা করে।
advertisement
কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড? এই ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে, যখন মাধব তার তিন বছরের ছেলেকে বাইকে চড়িয়ে নিয়ে বের হয়। রাত হয়ে গেলেও সে ফিরে না আসায় স্ত্রী স্বরূপা পুলিশের কাছে তার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ মাধবের মোবাইল লোকেশন ট্রেস করে জানতে পারে সে পুনের ওডগাঁও শেরি অঞ্চলের একটি লজে অবস্থান করছে।
পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই তারা দেখে মাধব মদ্যপ অবস্থায় রয়েছে। প্রথমে সে সন্তানের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর উত্তর দিতে থাকে, কিন্তু পুলিশের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের পর সে স্বীকার করে যে সে নিজেই নিজের ছেলেকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: ১২ বছরের মেয়ের ভয়ংকর কাণ্ড! ৪ বছরের শিশুকে গলা টিপে হত্যা, পাথরে মাথা থেঁতলে গর্তে পুঁতে দিল শরীর…
এক কোপেই গলা কেটে ফেলে! পুলিশি জেরার মুখে মাধব জানিয়েছে, সে ছেলেকে নিয়ে পুনের এক নির্জন এলাকায় যায়। যাওয়ার আগে সে একটি দোকান থেকে একটি ছুরি, ডেটল ও ললিপপ কিনে নেয়। এরপর সে তার ছেলের গলা এক কোপে কেটে ফেলে।
হত্যার পর সে আবার সেই দোকানে ফিরে যায়, খুনের সময় রক্তমাখা জামাকাপড় বদলে নতুন জামা কিনে নেয়। এরপর এক লজে গিয়ে মদ পান করে এবং ঘুমিয়ে পড়ে।
কীভাবে ধরা পড়ে ঘাতক বাবা? এই অঞ্চলে কোনও CCTV ক্যামেরা ছিল না, কিন্তু দোকানদার মাধবকে চিনতে পারে এবং পুলিশকে জানায় যে সে খুনের আগে ও পরে দোকানে এসেছিল। পুলিশ তাকে সেই নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ উপকমিশনার হিম্মত যাদব জানিয়েছেন, মৃতদেহ সাসুন জেনারেল হাসপাতাল-এ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মাধব টিকেতির বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।