TRENDING:

Extramarital Affair Case: কনস্টেবলের স্ত্রী-এর সঙ্গে মাখো মাখো প্রেম! স্বামী জানতেই হল ভয়ঙ্কর পরিণতি, কুপিয়ে শেষ করে দেওয়া হল মনোজ ও রোহিতকে...জানুন সেই হাড়হিম করা ঘটনাটি...

Last Updated:

Extramarital Affair Case: লখনউয়ের কাকোরিতে স্ত্রীর প্রেমিককে নির্মমভাবে খুন করলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। বিয়ের পরও স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় স্বামী প্রতিশোধ নিতে ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেন। প্রেম, প্রতারণা ও হত্যার রহস্য জানতে বিস্তারিত পড়ুন...

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কাকোরি এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে দুই যুবকের নৃশংসভাবে গলা কেটে খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন মনোজ রাজপুত ও রোহিত রাজপুত। হত্যার কারণ প্রথমে স্পষ্ট না হলেও, পুলিশের তদন্তে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর ষড়যন্ত্রের গল্প।
কনস্টেবলের স্ত্রী-এর সঙ্গে মাখো মাখো প্রেম! স্বামী জানতেই হল ভয়ঙ্কর পরিণতি, কুপিয়ে শেষ করে দেওয়া হল মনোজ ও রোহিতকে...জানুন সেই হাড়হিম করা ঘটনাটি...
কনস্টেবলের স্ত্রী-এর সঙ্গে মাখো মাখো প্রেম! স্বামী জানতেই হল ভয়ঙ্কর পরিণতি, কুপিয়ে শেষ করে দেওয়া হল মনোজ ও রোহিতকে...জানুন সেই হাড়হিম করা ঘটনাটি...
advertisement

খুন হওয়া মনোজের কল ডিটেলে পুলিশ একটি সন্দেহজনক নম্বর খুঁজে পায়। দুই মাস আগে পর্যন্ত এই নম্বর থেকে মনোজের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো, তবে সাম্প্রতিক সময়ে মাত্র ৩-৪ বার কথা হয়েছে। অন্যদিকে, একটি নতুন নম্বর থেকে প্রতিদিন মনোজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। তদন্তে দেখা যায়, দুই নম্বরের অবস্থান একই জায়গায় ছিল। পুরনো নম্বরটি ছিল অঙ্কিতা ওরফে দীপিকার, যিনি লখনউয়ের কাকোরির বাসিন্দা।

advertisement

আরও পড়ুন: ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিককে ডেকে খেলায় মেতেছিলেন মহিলা, হঠাৎ ঘরে ঢুকলেন স্বামী! তারপর যা হল ভাবতে পারবেন না…

পুলিশ যখন অঙ্কিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল, তখনই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হল। জানা গেল, অঙ্কিতার স্বামী মহেন্দ্র উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল এবং বর্তমানে লখিমপুর খিরিতে কর্মরত। স্বামীকে সঙ্গ দিতে অঙ্কিতা প্রেমিক মনোজকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু মহেন্দ্র এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি।

advertisement

ডিসিপি বিশ্বজিৎ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, মনোজ ও অঙ্কিতার সম্পর্ক স্কুলজীবন থেকেই ছিল। ২০২১ সালে অঙ্কিতার বিয়ে হয় মহেন্দ্রের সঙ্গে, কিন্তু বিয়ের পরও তার সঙ্গে মনোজের সম্পর্ক চলতে থাকে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মহেন্দ্র এ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং অঙ্কিতাকে আল্টিমেটাম দেন— হয় মনোজকে ছাড়তে হবে, নয়তো বিবাহবিচ্ছেদ নিতে হবে।

আরও পড়ুন: জামাইবাবুকে গভীর রাতে বোরখা পরে আসতে বলল শালী! তারপর যা হল তাতেই উড়ে গেল দিদির ঘুম…

advertisement

অঙ্কিতা স্বামীর সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু মনোজকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এরপর মহেন্দ্র ভুয়া আইডি দিয়ে দুটি নতুন সিমকার্ড কিনে নেয়। একটি অঙ্কিতার কাছে ছিল, অপরটি মহেন্দ্রের কাছে। অঙ্কিতা নতুন সিম দিয়ে মনোজের সঙ্গে কথা বলতেন এবং একই সিম থেকে স্বামীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন। তবে দুই মাস আগে অসাবধানতার কারণে পুরনো নম্বর থেকেও দু-একবার মনোজকে ফোন করেন। এটাই পুলিশের কাছে বড় সূত্র হয়ে দাঁড়ায়।

advertisement

হত্যার দিন অঙ্কিতা ফোন করে মনোজকে দেখা করতে ডাকেন। অন্যদিকে, মহেন্দ্র তার এক ভাগ্নে ও দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তার পাশে ওঁৎ পেতে বসে থাকেন। যখন মনোজ আসে, তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, মনোজের সঙ্গে তার বন্ধু রোহিতও ছিল। মহেন্দ্র জানতেন, রোহিত তাকে চেনে, তাই সাক্ষী রাখার ঝুঁকি নিতে চাননি। ফলে রোহিতকেও একইভাবে হত্যা করা হয়।

খুনের পর মহেন্দ্র লখিমপুরে পালিয়ে যান। কিন্তু অঙ্কিতার ফোন ট্র্যাক করতেই রহস্যের জট খুলে যায়। মনোজের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরে অঙ্কিতা ও মহেন্দ্রকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

তদন্তে দম্পতি হত্যার কথা স্বীকার করে। পুলিশ মহেন্দ্র ও অঙ্কিতাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে, এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর তিন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Extramarital Affair Case: কনস্টেবলের স্ত্রী-এর সঙ্গে মাখো মাখো প্রেম! স্বামী জানতেই হল ভয়ঙ্কর পরিণতি, কুপিয়ে শেষ করে দেওয়া হল মনোজ ও রোহিতকে...জানুন সেই হাড়হিম করা ঘটনাটি...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল