ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে সুবল ভৌমিককে। আপাতত দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুস্মিতা দেব ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পীযূষ কান্তি বিশ্বাস ছাড়াও যারা যোগ দিলেন তাঁরা হলেন, তেজেন দাস, আইনজীবী ও ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। যোগ দিয়েছেন অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনিও আইনজীবী ও ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যোগ দিলেন বিমলরুদ্র পাল, তিনিও ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের, ওবিসি সেলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যোগ দিয়েছেন পূর্ণিতা চাকমা। তিনিও ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের, কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। যোগ দিয়েছেন সমরেন্দ্র ঘোষ। ত্রিপুরা প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
advertisement
দীর্ঘ সময় ধরে এঁরা কংগ্রেসের দায়িত্বে ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যে। এঁদের অনেকেই কংগ্রেস ছেড়ে তৈরি করেন ত্রিপুরা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। এবার সেটা ছেড়েও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তারা। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে, ত্রিপুরায় কার্যত শক্তিক্ষয় হল কংগ্রেসের৷ এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় যে সব নেতা রয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই পীযূষ বিশ্বাসের পরিচিত। ফলে দলের সমস্ত স্তরের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করেই এগোনোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন তিনি। অন্যদিকে পীযূষবাবু রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্যের তিপ্রামোথা৷ তাঁদের সঙ্গেও আগামী দিনে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে জোড়া ফুল শিবির। সূত্রের খবর প্রদ্যুত কিশোর মানিক্যের দল তিপ্রোমথার সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর তৃণমূলে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় টি ডি এফ নেতৃত্ব।তবে কি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জোটের পথে হাঁটবে তৃণমূল এবং তিপ্রামোথা? জল্পনা তুঙ্গে।