রাজ্যসভায় ত্রিপুরার একমাত্র আসনের উপনির্বাচনে বৃহস্পতিবার ৪৩টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিজেপি-আইপিএফটি প্রার্থী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব| অন্যদিকে বামফ্রন্ট প্রার্থী প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুলাল সাহা পেয়েছেন ১৫টি ভোট| সব মিলিয়ে ৫৮ জন বিধায়ক ভোটদানে অংশগ্রহণ করেন।
যার অর্থ হল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ত্রিপুরায় প্রশাসনিক প্রধানের পদে বিপ্লব দেবের বদলে মাণিক সাহাকে মুখ করে ভোটে যেতে চলেছে গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ, আবারও একটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়েছিল, সেই বদলকেই কাজে লাগাবে বিজেপি।
advertisement
সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব দেবকে রাজ্যের মানুষের খুব একটা পছন্দ নয়। এমনকী, দলের অন্দরেও তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট বিবাদ রয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে রাজ্য বিজেপির মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজনেরও খবর আসছে। এই অবস্থায় বিপ্লবকে সামনে রেখে নির্বাচনে গেলে দলের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। তাহলে কি সেই কারণেই ভোটের আগে বিপ্লব দেবকে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলতে রাজি নয়।
অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপিরএকটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লবকে সরিয়ে তাঁকে সংগঠনের কাজে বেশি করে ব্যবহার করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, আগামী বছরই বিধানসভার ভোট হবে ত্রিপুরায়। এই রাজ্যে মোট আসন রয়েছে ৬০টি। এদিকে, ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় দুজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে বিজেপি। এঁরা হলেন ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিনোদ তাওড়ে। তথ্য বলছে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সম্পর্কে দলের রাজ্য নেতৃত্বের রিপোর্ট খুব একটা ভাল নয়। তাদের কাছ থেকে বার্তা পেয়েই বিপ্লবকে পদ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে দাবি সূত্রের। এবার দেখার আগামী বছরের ভোটে এই ফর্মুলা গেরুয়াশিবিরের পক্ষে যায় না বিপক্ষে!
