বড়দিনেই স্যান্টা ক্লজের ঢঙে পাকিস্তানকে বড় উপহার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। দেশবাসীকে না বলে-কয়ে কাবুল থেকে সটান নেমে পড়েছিলেন লাহোরে। টিভিতে মোদি-শরিফের হাত মেলানোর ছবি দেখে, অনেকটা মুরলীধরনের দুসরার সামনে টেল এন্ডারের মতো পরিস্থিতি হয়েছিল বিজেপি-বিরোধী দলগুলির। বছরের শেষবেলায় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপকে মাস্টারস্ট্রোক বলেই কুর্নিশ জানিয়েছিল কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু, পাঠানকোটের জঙ্গি হামলা পালটে দিল পুরনো সব হিসেব-নিকেশ। প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক লাহোর যাত্রার সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই, শনিবার পঞ্জাবের পাঠানকোট এয়ারবেসে হামলা চালাল পাক-জঙ্গিরা। আর এরপর থেকেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিরোধীরা।
advertisement
এদিন একের পর এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে বিঁধেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। তাঁর দাবি, নতুন বছরে মোদির পাক-নীতির প্রথম অ্যাসিড টেস্ট পাঠানকোট। যদিও পাকিস্তান ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করে কেন্দ্র জানিয়েছে, আলোচনা চললেও হামলা বরদাস্ত হবে না।
এর আগেও পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে এক পা এগিয়ে দু'পা পিছিয়ে আসতে হয়েছে কেন্দ্রকে। আলোচনা শুরুর আগেই তা বানচাল করতে সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তানের সেন-আইএসএআই চক্র। নিরানব্বইয়ের লাহোর-বাস যাত্রার পর কার্গিল যুদ্ধ বা গতবছর দু'দেশের NSA স্তরের বৈঠকের আগে গুরদাসপুর ও উধমপুরের জঙ্গি হামলা। উদাহরণ রয়েছে প্রচুর। কূটনৈতিক মহলের মতে, এবারও সেই পুরনো স্ট্র্যাটেজিতে আটকে সেন-আইএসআই। একাধারে জঙ্গি হামলা, সঙ্গে বিরোধীদের রক্তচক্ষু। জোড়া বাঁধা টপকে আদৌ কি সফল হবে মোদির-পাক নীতি?