গীতা শুধুই লেখিকা ছিলেন না, সাহিত্যের পাশাপাশি ফিল্ম মেকার হিসেবেও জনপ্রিয় ছিলেন৷ রাজনীতিবিদ বিজু পট্টনায়কের মেয়ে গীতা শারীরিক সমস্যা অনেকদিন ধরেই ভুগছিলেন৷ বোন গীতার মৃত্যু সংবাদ শুনেই দিল্লির পৌঁছে গেছেন নবীন পট্টনায়ক৷ গীতা মেহতার প্রয়াণে দেশের সমস্ত মহলে শোকের ছায়া পড়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘ব্লাউজ খুলে শুধু ব্রা পরতে হবে’, অমিতাভের সঙ্গে শ্যুটিংয়ে মেজাজ হারান মাধুরী, পরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর
advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গীতার প্রয়াণের দুঃসংবাদ পেয়ে শোকস্তব্ধ৷ গভীর শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘ তিনি একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তার বুদ্ধিমত্তা এবং লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি আগ্রহের জন্য পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং জল সংরক্ষণ সম্পর্কে উৎসাহী ছিলেন। আমি এই শোকের মুহুর্তে নবীন জির এবং সমগ্র পরিবারের সঙ্গে। ওম শান্তি।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ধর্মেন্দ্র প্রধান শোকপ্রকাশ করেছেন৷ শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘বিশিষ্ট লেখক গীতা মেহতার প্রয়াণের খবর শুনে মর্মাহত। এটা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগতের বড় ক্ষতি। মাননীয় প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও পরিবার। তাঁর পরিবার এবং বন্ধুদের এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দেওয়ার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করুন। ওম শান্তি।’
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প! ৪ ঘন্টার মধ্যেই মণিপুরের পর আবারও কেঁপে উঠল আন্দামান, বাড়ছে আতঙ্ক
ভারতে পড়াশোনা শেষ করে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের উচ্চশিক্ষা শেষ করেন গীতা। তাঁর লেখা একাধিক গ্রন্থ ব্যাপকভাবে সমাদৃত। ,’স্নেক’,’এ রিভার সূত্র’, ‘ কর্ম কোলা’,’ল্যাডার’,’দ্য ইটারনাল গণেশা’ একাধিক বহু ধরনের বই লিখেছেনতিনি । যা পাঠক সমাজকে সমাদৃত করে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয়েছিল গীতা মেহতাকে৷ তবে তিনি তা গ্রহণ করতে রাজি হননি৷