১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। ৪৪ বছর পর, সেই ২৫ জুন, জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ তুলেই বার বার কংগ্রেসকে নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন, ২৫ জুনের রাত ইতিহাসের কালো দিন ৷ ১৯৭৫-এর ২৫ জুনের গণতন্ত্র হত্যা হয় ৷ ক্ষমতার জন্য গণতন্ত্রে আঘাত আনা হয় ৷ সংবিধানকে ধুলিস্যাৎ করার চেষ্টা হয় ৷ সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয় ৷ সেবারও গণতন্ত্রের পক্ষেই রায় দেয় দেশ ৷ এবারও একভাবে রায় দিয়েছেন মানুষ ৷’
advertisement
শুধু কংগ্রেসই নয়, এদিন রাহুল গান্ধিকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি মোদি ৷ ভোটের প্রচারে বেড়িয়ে, নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে বার বার কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধি। এ নিয়েও এ দিন জবাব দেন মোদি। নাম না করে রাগা কে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি অনেক উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছেন ৷ তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ৷ নীচের লোকেদের আপনি তুচ্ছ মনে করেন ৷ মানুষকে ছোট করতে ছাড়েন না ৷ আমরা কাউকে ছোট করে সময় নষ্ট করি না ৷ আপনি আরও উঁচুতে যান ৷’
সোমবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মোদি সরকারের দিকে। ইউপিএ আমলে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে খোঁচা দিতেই পালটা চ্যালেঞ্জের সুরে অধীর বলেন, মোদি সরকার তো ৬ বছর ধরে শাসনে। সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধিকে কেন জেলে ভরা গেল না? মঙ্গলবার, নাম না করে এর জবাবও দেন প্রধানমন্ত্রী। অস্ত্র করেন সেই জরুরি অবস্থাকে।
এবার লোকসভা ভোটে কংগ্রেসকে ফের ধরাশায়ী করেছে বিজেপি। বিপুল সাফল্যের পর নরেন্দ্র মোদি বার্তা দেন, ভোটের প্রচারে যা তু তু ম্যায় ম্যায় হয়েছে, এবার তার অবসান। এবার সবাইকে এক হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করতে হবে। কিন্তু, এদিন, লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার জবাবী ভাষণে, নরেন্দ্র মোদিই বার বার রাজনৈতিক আক্রমণ করলেন। নিশানা করেন কংগ্রেসকে।
‘আমি কারও অবদান অস্বীকার করি না ৷ মহাত্মা গান্ধির থেকে বড় প্রেরণা নেই ৷ ২০০৪-এর পর বাজপেয়ীর নাম নেয়নি কংগ্রেস ৷ এখন তো মনমোহন সিংয়ের নামও বলে না ৷’ লোকসভায় কংগ্রসকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর ৷