অসমে তৃতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন আগামী ৬ এপ্রিল৷ যার অর্থ এবারের মতো আর নির্বাচনে প্রচার করতে পারবেন না এই বিজেপি নেতা৷ অসমে বিজেপি-র রণনীতি তৈরি করার পিছনে হিমন্ত বিশ্বশর্মার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে৷ বিজেপি-র তারকা প্রচারকদের তালিকাতেও নাম ছিল তাঁর৷ ফলে তিনি প্রচার করতে না পারলে তা নিঃসন্দেহে বিজেপি-র কাছে ধাক্কা হবে৷
advertisement
গত ২৮ মার্চ এই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷ তার পরেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস৷ অভিযোগ করা হয়, প্রকাশ্যেই বিরোধী দলের নেতাকে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা৷ বৃহস্পতিবার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে নোটিস পাঠানো হয়৷ এ দিন সকালে তাঁর জবাব দেন বিজেপি নেতা৷ যদিও হিমন্ত বিশ্বশর্মার জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি নির্বাচন কমিশন৷ এ দিন বিকেলে তাঁর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷
বিতর্কিত ওই মন্তব্যে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিপিএফ নেতার উদ্দেশে বলেন, 'হাগরামা মোহিলারি যদি চরমপন্থা অবলম্বন করেন তাহলে তাঁকে জেলে যেতে হবে৷ এটা আমি পরিষ্কার বলে দিচ্ছি৷ ইতিমধ্যেই অনেক প্রমাণ আমাদের হাতে আছে৷ এই মামলাটি এনআইএ-কে দেওয়া হচ্ছে৷ কোকরাঝাড়ে গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার মামলাটিও এনআইএ তদন্ত করবে৷ হাগরামা হোন বা অন্য কেউ, বরোল্যান্ডে কাউকে অশান্তি পাকাতে দেওয়া হবে না৷'
হাগরামা মোহিলারির দল বিপিএফ আগে বিজেপি-রই জোটসঙ্গী ছিল৷ কিন্তু গত ডিসেম্বর মাসে বিজেপি বরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল-এর সঙ্গে হাত মেলাবনোয় মোহিলারি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধেন৷