সেই বিধায়ক বিস্তারিত জানিয়েছেন, তিনি সমস্তরকম সমীক্ষার ফল পেয়েছেন৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাইছেন সিদ্ধারামাইয়াকে৷ মাত্র ১০ শতাংশের সমর্থন রয়েছে শিবকুমারের দিকে৷ পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন, সংখ্যালঘু, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ও দলিতরা সিদ্দারামাইয়ার জন্যই কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন৷ যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না করা হয়, তা হলে ভবিষ্যতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটাররা কংগ্রেসের থেকে সরে যেতে পারে৷
advertisement
আরও পড়ুন: নীল ফরাশের উপরে সার সার সাদা তাঁবু, অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রায় নজর কাড়ছে এই ছাউনিতলা
আরও পড়ুন: ‘তোমার গলা ভেঙে গেছে, ক’দিন বিশ্রাম নাও’, অভিষেককে স্নেহের বকুনি মমতার
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির কাছেও নাকি একই কথা বলেছেন সিদ্দারামাইয়া৷ তিনি দাবি করে জানিয়েছেন, তাঁর দিকে সিংহভাগ জয়ী বিধায়কের সমর্থন রয়েছে৷ সেক্ষেত্রে তাঁরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত৷ তবে এই বিধায়ক নিউজ১৮-কে জানিয়েছেন, তাঁর অবাক লেগেছে এটা দেখে যে সিদ্দারমাইয়া হুমকি দিয়েছেন, তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন ও ভবিষ্যতে কংগ্রেসের কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁকে পাওয়া যাবে না৷
পাশাপাশি, কংগ্রেসের ঘোষিত পাঁচটি নীতির বিষয়টিও তুলেছেন সিদ্দারামাইয়া৷ তিনি বলেছেন, ‘কংগ্রেস এই পাঁচটি শর্ত তখনই পূর্ণ করতে পারবে যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন৷ পাশাপাশি, শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি জানিয়েছেন, ডিকে শিবকুমারের নানারকম সমস্যার দিক আছে, এবং সেগুলি কী ভাবে ভবিষ্যতে সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে পারে৷ শিবকুমারের বিরুদ্ধে সেটি কী ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে৷ সেই কারণেও শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে তাঁর আপত্তি আছে৷
তার পরেই তিনি শর্ত দিয়েছেন, হয় তিনি, না হয় তৃতীয়, কিন্তু ডিকে শিবকুমারকে কখনই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো চলবে না৷ কংগ্রেস যেন আশা না করে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার পর তিনি দলের সঙ্গে ভবিষ্যতেও কাজ করবেন৷