নীতীশের অস্বস্তি আরও বেড়েছে কারণ তারাপুরের এই বিধায়ক তাঁর নিজের দল জেডিইউ-এরই৷ ২০১৭ সালে ভাগলপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন সহকারী অধ্যাপক এবং জুনিয়র সায়েন্টিস্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে মেওয়ালালের বিরুদ্ধে৷ সেই সময় কিছুদিনের জন্য তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ডও করা হয়৷ বিহারের তৎকালীন রাজ্যপাল এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমতি নিয়ে মেওয়ালালের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েনি৷
advertisement
মেওয়ালাল চৌধুরী৷
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ মেওয়ালাল৷ তাঁর দাবি, এখনও তদন্ত চলছে৷ কোনও অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি৷বিচারাধীন থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলার কথা তিনি নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি বলে দাবি মেওয়ালালের৷ তাঁর যুক্তি, অনেক বিধায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে৷ কিন্তু তা প্রমাণ করতে হয়৷
মেওয়ালালকে মন্ত্রী করায় ধারাবাহিক ভাবে ট্যুইট করে নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, মন্ত্রিসভায় ক্রিমিনালদের জায়গা করে দিচ্ছেন নীতীশ৷ মেওয়ালাল পাল্টা দাবি করেছেন, তেজস্বীর বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ অন্যের দিকে আঙুল তোলা তাঁর সাজে না৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য চাপে পড়ে ইস্তফা দিতেই বাধ্য হলেন মেওয়ালাল৷