দুহাজার আঠারো-উনিশ অর্থবর্ষের জন্য আগেই সাত দশমিক চার শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিল আইএমএফ বা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার। দুহাজার উনিশ-কুড়ি সালে এই বৃদ্ধির পূর্বাভাস সাত দশমিক আট শতাংশ। কারণ হিসেবে জিএসটি, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় সংস্কারের সুফলকেই হাতিয়ার করা হয়েছিল। শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের আগে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে আগামীর অর্থনীতি চালনায় সেই দিশাকেই হাতিয়ার করল কেন্দ্র। সামনের বছর লোকসভা ভোট। ফলে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে অর্থব্যবস্থাকে চাঙ্গা করার লক্ষ্য কী ভোটের অঙ্কে জনমোহিনী চাপে চাপা পড়ে যাবে? বিরোধীরা সেই আশঙ্কা করলেও আর্থিক সমীক্ষায় সরকারের দাবি, বাজেটে নতুনত্ব কিছু নয়, দেশের আর্থিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালি করতে চালু প্রকল্পগুলিতেই জোর দেওয়া হবে বাজেটে।
advertisement
- জিএসটি-র জেরে ১২ শতাংশ রাজস্ব সংগ্রহ বেড়েছে
- নোটবন্দি ও জিএসটির ফলে ১৮ লক্ষ নতুন সংস্থা কর ব্যবস্থায় এসেছে
- ব্যক্তিগত করদাতার সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুন
- পরোক্ষ কর সংগ্রহ বেড়েছ প্রায় ৫০ শতাংশ
- পরিষেবা খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি বেড়েছে ১৫ শতাংশ
আর্থিক সংস্কারের সাফল্যকে হাতিয়ার করেই আগামী অর্থবর্ষে সরকারের আশা,
- চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৬.৫ শতাংশ
- কৃষি বৃদ্ধির হার হবে ২.১ শতাংশ
- শিল্পে বৃদ্ধির হার হবে ৪.৪ শতাংশ
- আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৭-৭.৫ শতাংশ
দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য শক্তিশালি করতে মূলত কৃষি, এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পুনুরুজ্জীবনের মতো বিষয়গুলিকেই সমীক্ষায় ফোকাসে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন দাবি করেছেন, অর্থ ব্যবস্থাকে আরও চাঙ্গা করা লক্ষেই বাজেট হবে।
অর্থনীতিতে নতুনত্বের পথে না হাঁটার কথা বলা হলেও এবারের আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টকে নতুন মোড়ক দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। এবারের আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টের থিম পিঙ্ক। সাবেক নীল রং থেকে এবার আর্থিক সমীক্ষার সবকিছুই গোলাপি। সরকারের দাবি, ছেলে না হওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট হতে পারেন না ভারতীয় বাবা-মায়েরা। নারী অধিকার আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ।