উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এফসিআই চাল, চিনি, লবণ, খাদ্য উপযোগী তেল, খাদ্য শস্য, সার, সিমেন্ট, কয়লা, শাকসবজি, অটোমোবাইল, পিওএল ট্যাংক, কনটেইনারের মতো পণ্যসামগ্রী ও অন্যান্য সামগ্রী সংশ্লিষ্ট মাসে পরিবহণ করেছে এবং নিজস্ব অধিক্ষেত্রের অধীনে বিভিন্ন গুডস শেডে সেগুলি আনলোড করেছে।
মে, ২০২৩ সময়সীমার মধ্যে অসমে পণ্যবাহী ট্রেনের ৬১৫টি রেক আনলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯৯টি রেকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী লোড ছিল। সংশ্লিষ্ট মাসে ত্রিপুরায় ৯৮টি রেক, নাগাল্যান্ডে ১৮টি রেক, মণিপুরে ২টি রেক, অরুণাচল প্রদেশে ৭টি রেক এবং মিজোরামে ৫টি রেক আনলোড করা হয়। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট মাসে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ২২১টি পণ্য রেক ও বিহারে ১৬৫টি পণ্য রেক আনলোড করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন রাজভবনের, তীব্র আপত্তি জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি মমতার
অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য নয়, বরং তার পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে সক্রিয় রাখতেও নিয়মিত পরিবহণ করা হচ্ছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেকশনগুলিতে দ্বৈতকরণের কাজ দ্রুতগতিতে পরিচালনা করা হচ্ছে যার ফলে পণ্যবাহী ট্রাফিকের অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারতে পণ্য সামগ্রী সরবরাহের খরচ অনেক বেশি৷ সড়কপথে যেমন সময়সাপেক্ষ তেমনি ব্যায়বহুল। আকাশপথে খরচ এতটাই বেশি যে সকলে তাতে অংশ নিতে পারেন না৷ ভরসা একমাত্র রেল পথেই পণ্য পরিবহণ করা৷ গত কয়েক মাসে ধীরে পণ্য পরিবহণে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে পরিমাণ বাড়ছে৷ রেলের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে এটি আরও বাড়বে৷