সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টই (Supreme Court) ওই ট্যুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, কারণ পর্যালোচনা করে তারা দেখেছে যে, নিয়ম মেনে ট্যুইন টাওয়ার তৈরি করা হয়নি। এমারেল্ড কোর্ট গ্রুপ হাউজিং সোসাইটির রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি আবেদন দাখিল করা হয়েছিল। তাতে দাবি করা হয় যে, ২০১০ সালের উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্টমেন্টস আইন না-মেনেই ট্যুইন টাওয়ারটি বানানো হয়েছিল। দুই টাওয়ারের মধ্যে যে ন্যূনতম দূরত্ব থাকা উচিত, তা রাখা হয়নি। এই সব দিক খতিয়ে দেখে গত বছরেই ওই জোড়া টাওয়ার ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়ে শীর্ষ আদালত জানায় যে, উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্টমেন্টস আইনের আওতায় প্রতিটা ফ্ল্যাটের মালিকের সম্মতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ-ক্ষেত্রে সেই সম্মতি না-নিয়ে বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছে ট্যুইন টাওয়ার।
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়ে মারাত্মক পরিকল্পনা, প্রসন্ন গ্রেফতার হতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল পার্থর!
আরও পড়ুন: বন্ধ রাইস মিলের আড়ালে কর্মকাণ্ড, অনুব্রতকে ফাঁদে ফেলতে সিবিআই-এর নতুন চাল
বীভৎস একটা শব্দ, ব্যাস! তারপরেই সব শেষ৷২০১২-২০২২ ১০ বছরের সেই গগনচুম্বী অট্টালিকা, উচ্চতায় যে কুতুবমিনারকেও হার মানাত এখন ইতিহাস। আর শেষটাও হল ইতিহাস তৈরি করার মতো করেই৷ শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল সঙ্গী৷ বিতর্কের শিকড় উপড়ে টাওয়ার মাটিতে মিশিয়ে গেল মুহূর্তে। নয়ডার জোড়া মিনারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা ৷ মোট ৭.৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই মিনার তৈরি করতে প্রতি বর্গফুট পিছু খরচ পড়েছিল ৯৩৩ টাকা ৷ সব মিলিয়ে নির্মাণ-ব্যয় পৌঁছেছিল প্রায় ৭০ কোটি টাকায় ৷ এ বার এর ধ্বংসপর্বও হল ব্যয়বহুল ৷