নবান্ন সূত্রে জানা গেছে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের মুখ্য সচিব নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন বিসর্জন চলাকালীন ঘাট গুলিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে বিসর্জন চলাকালীন কোন মৃত্যু বা ডুবে যাওয়ার মত ঘটনা না ঘটে।
আরও পড়ুন : আগামী ২ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি রাজ্যের তিন জেলায়! আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট
advertisement
প্রয়োজনে জেলাশাসকদেরও ঘাটগুলি পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। জেলাশাসকদের পাশাপাশি বিভিন্ন মহকুমার মহকুমা শাসকদেরও প্রয়োজনে ঘাটগুলি পরিদর্শন করতে হবে। বিসর্জন চলাকালীন সময় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের ও প্রয়োজনে থাকতে হবে বলেও এদিন নির্দেশে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জলপাইগুড়ির মাল নদীতে বিসর্জন চলাকালীন যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও এই হড়পা বানে মৃতদের জন্য দু লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় আর কোনও নিখোঁজ নেই বলেও ট্যুইট করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাল নদীর দুর্ঘটনায় ১৩ জনের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ৭০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের তৎপরতায়।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। নম্বরগুলি হল ০৩৫৬১২৩০৭৮০,৯০৭৩৯৩৬৮১৫। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলায় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ও যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পর্যালোচনামূলক বৈঠক করেছে নবান্নের শীর্ষ মহল বলেই সূত্রের খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়