দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জে আয়োজিত বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে অংশ নিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে এই অভিযানের সূচনা করা হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের কল্যাণ সাধন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সেই দিশায় কাজ করছে আমাদের রাজ্য সরকারও। আধুনিক প্রযুক্তির ধারণা সম্পর্কে কৃষকদের আরো অবগত করাই হচ্ছে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য। এর ফলে আগামীতে কৃষিক্ষেত্র আরও উন্নত হবে। উন্নত মানের ও গুণগত মানের ফসল ফলানও আরও সহায়ক হবে।’’
advertisement
আরও পড়ুন– সময়ের আগেই রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে, আগামী ক’দিন কোথায় কেমন বৃষ্টির পূর্বাভাস? জেনে নিন
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘সম্প্রতি দিল্লিতে রাইজিং নর্থইস্ট ইনভেস্টরস সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি অংশগ্রহণ করেছে। আর সেখানে ৩০ হাজার কোটি টাকার মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরমধ্যে ত্রিপুরাতে ১৫,৬০০ কোটি টাকার অধিক মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। কারণ মানুষ এখন ত্রিপুরায় আসতে চাইছেন। কৃষকরা এখন আর আগের অবস্থায় নেই। আমাদের সরকার আসার পর কৃষকদের আয় বেড়েছে। আমরা চাইছি তাদের রোজগার আরও বৃদ্ধি হোক। ভারতবর্ষের গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের বাস। কৃষকরা উন্নত হলেই দেশ ও রাজ্য এগিয়ে যাবে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের চাষাবাদে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ও ড্রোন প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।’’
অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০২৪ সালে ত্রিপুরায় ডিজিটাল কৃষি মিশনের অধীনে AI ভিত্তিক ক্রপ এডভাইজারি সিস্টেমকে যাতে আরো ভাল করা যায় তার জন্য নীতি অয়োগ ও কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা ক্রমে কাজ চলছে। এতে অনেক সুবিধা হয়েছে। সব কিছুতে সংস্কার ও রূপান্তরে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরবর্তী সবুজ বিপ্লব শুধু ট্রাক্টরের উপর নির্ভর না করে প্রযুক্তি নির্ভর ও কৃষকদের অটল চেতনা জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামীতে পুষ্টিগত অর্থনীতিতে উন্নতিকরণ, কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা ও স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৬টি কৌশল স্থির করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর মধ্যে রয়েছে – কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা, খরচ হ্রাস করা, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, ক্ষয়ক্ষতি কম করার দিকে নজর রাখা, বৈচিত্র্যকরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও মূল্য সংযোজন এবং প্রাকৃতিক ও জৈব চাষে উৎসাহিত করা। অনুষ্ঠানে তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরায় বর্তমানে কৃষকের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭২ হাজারের উপর রয়েছে।’’