নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোন ওড়ানোর অনুমতির জন্য যে ফর্মগুলি পূরণ করতে হত তার সংখ্যা ২৫ থেকে কমিয়ে ৫টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও অপারেটরের কাছ থেকে নেওয়া ফি-এর ধরন ৭২ থেকে কমিয়ে ৪-এ নিয়ে আসা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) জানিয়েছে, “দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এই সিদ্ধান্ত একটি ল্যান্ডমার্ক”।
advertisement
ড্রোন ওড়ানোর অনুমতির জন্য আগে একগুচ্ছ অনুমোদনের প্রয়োজন হত। আগে একটি অথরাইজেশন নম্বর, আইডেন্টিফিকেশন নম্বর, বায়ু যোগ্যতার শংসাপত্র, মেন্টেনেসের শংসাপত্র, আমদানির ছাড়পত্র সহ আরও অনেক নথির প্রয়োজন পড়তো। এবার থেকে অত অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে না।
কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রক ড্রোন ওড়ানোর জন্য এয়ারস্পেসের একটি আলাদা মানচিত্র তৈরি করার কথা বলেছে। যেখানে তিনটি রঙের জোন থাকবে, সেগুলিকে গ্রিন জোন, ইয়েলো জোন ও রেড জোনে ভাগ করা হবে। এই জোনের মধ্যেই ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগে ইয়েলো জোন পড়তো বিমানবন্দরের ৪৫ কিলোমিটারে পরিধির মধ্যে। এবার তা কমিয়ে ১২ কিলোমিটারে আনা হয়েছে। এর মানে বিমানবন্দরের ১২ কিলোমিটারে ব্যাসার্ধের বাইরের অঞ্চল ড্রোন ওড়ানোর জন্য গ্রিন জোন হিসেবে ধরা হবে। গ্রিন জোন মানে এয়ারস্পেসের ৪০০ ফুট বা ১২০ মিটার পর্যন্ত, এর বাইরের অংশকে রেড জোন বা ইয়েলো জোন হিসেবে ধরা হবে। এছাড়া বিমাবন্দরে ৮ থেকে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে ২০০ ফুট বা ৬০ মিটারে উচ্চতা পর্যন্ত কোনও ড্রোন ওড়ানো যাবে না।
এবার থেকে নন-কমার্সিয়াল ব্যবহারের জন্য পাইলট লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। নিয়ম লঙ্ঘন হলে জরিমানার পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, টাইপ সার্টিফিকেট এবং ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর তখনই প্রয়োজন হবে যখন ভারতে ড্রোন চালানো হবে। বাইরে থেকে ড্রোন আমদানি করা বা রফতানির উদ্দেশ্যে তৈরি করার ক্ষেত্রে টাইপ সার্টিফিকেশন এবং ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের প্রয়োজন পড়বে না।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “ড্রোন ওড়ানোর নতুন নিয়মে লজিস্টিক ও পরিবহণ বিভাগে বিপ্লব ঘটবে। কৃষি, স্বাস্থ্য ও খনি শিল্পে নানা পরিবর্তন আসবে”।