প্রসঙ্গত এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল গত বছর। তাঁদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী আসতে এক মাসেরও কম সময় বাকি ছিল৷ মৃত্যুর আগে নেহা গুপ্তা তাঁর বাবা-মাকে বলেছিলেন যে তাঁকে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং যৌতুকের জন্য তাঁর স্বামী এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিবার তাঁকে হয়রানি করছে। তরুণীর বাবা রাধেশ্যাম গুপ্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে জন্মগ্রহণকারী এবং মুম্বইয়ে ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত অরবিন্দ গুপ্তের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ের পর পরই নির্যাতন শুরু হয়।
advertisement
এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে। রাধেশ্যাম গুপ্ত জানান তিনি তাঁর জামাইকে প্রচুর পরিমাণে উপহার দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিল আনুমানিক ২৮ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা, নগদ ৯ লক্ষ টাকা এবং একগুচ্ছ গৃহস্থালির সরঞ্জাম। নগদ বরপণ, যৌতুক প্রচুর পরিমাণে দেওয়ার সত্ত্বেও অরবিন্দর পরিবারের চাহিদা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ৷ শ্বশুরবাড়ির কাছে অরবিন্দ চেয়েছিলেন আরও টাকা এবং একটি দামি রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল। তরুণী তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। নেহা তাঁর বাবাকে বলেছিলেন যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপর নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। তাঁকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।
নেহার পরিবারের অভিযোগ, খাবারে মাদক মিশিয়ে তাঁদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে৷ মাদকের প্রভাবে নেহা বার বার অচৈতন্য হয়ে পড়েন৷ বাবাকে নেহা বলেছিলেন তিনি ‘অদ্ভুত’ এবং ‘মানসিকভাবে অস্থির’ বোধ করছেন। গ্রেফতার হওয়া ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ৷যৌতুকজনিত মৃত্যু, বিষ প্রয়োগে আহত করা এবং হত্যা-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলে ধারণা পুলিশের।
