পেটা (পিপল ফর দ্য এথিকাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমালস)-র সদস্য গোপাল সুরাবাথুলা নিউজ ১৮-কে জানিয়েছেন, গুন্টুর-প্রকাশম ও সংলগ্ন এলাকায় মানুষের কুসংস্কার, গাধার মাংস ও দুধ খেলে লোহার মতো শক্তিশালী শরীর তৈরি হয়। তিনি জানান, এই কুংস্কারের ফাঁদেই গাধার মাংসের চাহিদা বিপুল পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি কেজিতে গাধার মাংস বিক্রি হচ্ছে।'
advertisement
আরও পড়ুন: জানা গেল সেই 'গার্লফ্রেন্ডের' পরিচয়, শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করার পর তাঁকেই ফ্ল্যাটে ডাকত আফতাব!
গাধার মাংস বিক্রি ও পাচার আইনত অপরাধ। অনেকেই আবার বিভিন্ন রাজ্য থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে গাধা পাচার করছেন। তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পেটা (পিপল ফর দ্য এথিকাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমালস)-র সদস্য গোপাল সুরাবাথুলা আরও জানান, অনেকেই আবার মনে করেন, গাধার দুধ খেলে শ্বাসকষ্টের মতো কঠিন রোগ নিরাময় হয়। এই দুধ ১০ হাজার টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন: 'সন্ত্রাস আর উচ্ছৃঙ্খলতার আরেক নাম বাম-কংগ্রেস', তীব্র আক্রমণ মানিক সাহার
তিনি সাফ জানান, বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গাধার দুধ, মাংস ও রক্তের কোনও চিকিৎসাজনিত লাভ নেই। তাঁর দাবি, এই অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বলি হয়ে গত এক দশকে গাধার সংখ্যা প্রবল ভাবে কমতে শুরু করেছে। পেটা-র তরফে তিনি এই অপরাধকে বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও সরকারের কাছে।