শম্ভু সিং চৌবদার বলেন যে, বন-জঙ্গলে যে সব ভেষজ পাওয়া যায়, তা দিয়েই রোগীদের চিকিৎসা করেন তিনি। আসলে তাঁর মতে, বন-জঙ্গল এবং পাহাড়ে নানা ধরনের জীবনদায়ী ঔষধির গাছ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু আয়ুর্বেদিক ভেষজ নিউমোনিয়ার জন্য খুবই উপকারী। এই রোগে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয় ফুসফুস। ফলে নিম গাছ এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। নিম দাঁতন করে কিংবা নিম পাতার রস পান করে রোগ উপশম করা সম্ভব।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রচণ্ড গরমের তাপে নষ্ট হয়েছে বহু কুলার-পাখা, ভারতের ‘এই’ শহরের পরিস্থিতি সাংঘাতিক!
শুধু তা-ই নয়, জন্ডিসের মতো রোগও মাত্র এক সপ্তাহেই সারিয়ে তোলেন তিনি। জন্ডিস রোগের চিকিৎসাও বেশ অভিনব। শম্ভুর বক্তব্য, রোগীদের একটি ভেষজের মালা পরিয়ে দেন। রোগ সেরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মালাটি বড় হতে থাকে। এই দাওয়াইয়ের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধও খাওয়া যেতে পারে।
শম্ভুর কাছে প্রতিদিন শতাধিক রোগীর ভিড় জমে। কোটা এবং কোটার আশপাশের এলাকা থেকে আসেন রোগীরা। এমনকী সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নেতারাও তাঁর কাছে ওষুধ নিতে আসেন। শম্ভুর কাছে আসা এক জন্ডিস রোগী জানান, “দীর্ঘ দিন ধরে জন্ডিসে ভুগছিলাম। চিকিৎসকদের কাছে গিয়েও লাভ হয়নি। এক পরিচিতের কাছ থেকে শম্ভুর কথা জেনে তাঁর কাছে গিয়েছিলাম। পাঁচ-ছয় দিন পরেই রোগ সেরে যায়। আসলে শম্ভু সিংয়ের দেওয়া ভেষজ ও গুল্ম থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়।”
কিন্তু কীভাবে এই পেশায় এলেন শম্ভু? তাঁর কথায়, বাবার জন্যই মূলত এই পেশায় এসেছেন তিনি। আসলে শম্ভুর বাবা দুর্গাদাসও একই কাজ করতেন। তিনি বন-জঙ্গল থেকে ভেষজ সংগ্রহ করে মানুষের রোগের চিকিৎসা করতেন। ফলে তাঁর কাছেই এই কাজের হাতেখড়ি!