এবার এই খিচুড়ি যদি জাতীয় খাবার হয়, তাহলে বার্গার পাস্তা কিন্তু অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে। সর্বভারতীয় এক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল জাতীয় খাবার হিসেবে খিচুড়ির নামকে মনোনিত করেছিলেন ৷ যা কেন্দ্রের সম্মতিও পেয়েছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, খিচুড়ি এমন একটি খাবার যা গোটা দেশে সমানভাবে জনপ্রিয় ৷ যা কিনা যে কোনও শ্রেণীর মানুষের কাছে সমানভাবে প্রিয় খাবার ৷
advertisement
তবে মোদি সরকার জানিয়েছে জাতীয় নয় আন্তর্জাতিক খাদ্য উৎসবে খিচুড়িকে ভারতের ব্র্যান্ড খাবার হিসেবে তুলে ধরা হবে ৷
একেবারেই কৌলিন্য ছিল না। কিন্তু হঠাৎই এক লাফে খিচুড়ি ঢুকে গেল এলিট খাদ্য তালিকায়। সহজপাচ্য ও আম আদমির খাবার তাঁর সঙ্গে সুষম খাদ্যগুণ। এই তিনেই খিচুড়ি জাতীয় খাবার। আর এই শুনে তো আম বাঙালি আহলাদে আটখানা। নিজেরা একেবারে হাতে কলমে খিচু়ড়ি রেঁধে জানিয়ে দিলেন এর খাদ্যগুণ।
স্বাদে, গন্ধে যদি অতুলনীয় হয়, তাহলে ডান হাতের কাজটা আর থামতেই চায় না। সঙ্গে যদি পাঁপরভাজা হয়, তাহলে তো কথাই নেই।
ইতিহাসের পাতা ধরে যদি পিছনো যায়, তাহলে দেখা যাবে ইবন বতুতা থেকে আলেকজান্ডারের সময়ের ঐতিহাসিকরা সকলেই চাল ও ডালের মিশ্রনের খিচুড়ি আদি রূপের কথা বলে গেছেন। ব্রিটিশশাসন থেকেই এই খিচুড়ি জনপ্রিয় এদেশে৷ তবে দেশের নানা প্রান্তে নানাভাবে তৈরি হয় এই খিচুড়ি ৷ তবে মূলত ডাল ও চালকে মিশিয়েই খিচুড়ি তৈরি করার প্রধান নিয়ম ৷ হিন্দিতে একে বলে খিচড়ি, দক্ষিণী ভাষায় হাগ্গি ৷এবার এই খিচুড়ি যদি জাতীয় খাবার হয়, তাহলে বার্গার পাস্তা কি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
জানা গিয়েছে, ৪ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়াতে খিচুড়িকে জাতীয় খাবারের সম্মান দেওয়ার পর দেশ-বিদেশ থেকে আসা নামী-দামী শ্যেফরা তৈরি করবেন প্রায় ৮০০ কেজির খিচুড়ি !