রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব-লড়াই। বিরোধীদের দাবি, মোদি সরকাররের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অসাংবিধানিক। ধর্মের ভিত্তিতে এ ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। তাদের দাবি, মোদি সরকারের আসলে মুসলিমদের টার্গেট করে মেরুকরণের তাস খেলছে। বুধবার রাজ্যসভায় বলতে উঠে বিরোধীদের এই সব অভিযোগকেই ভোঁতা করার চেষ্টা চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারই পাল্টা বলতে উঠে ডেরেক বলেন, ‘৮৪ বছর আগে নাৎসী জার্মানরা যা করেছিল আজ রাজ্যসভাতে দাঁড়িয়েও সেই অবস্থার কথা মনে করে একইরকম ভয় লাগছে ৷ এই বিল সংবিধান বিরোধী ৷ বাঙালি বিরোধী বিল এনেছে সরকার ৷ নাগরিকত্ব বিল ভারত বিরোধী ৷ বাঙালিকে দেশপ্রেম শেখাবেন না ৷ ব্রিটিশরা বাঙালিদের দমাতে পারেনি ৷ আপনারাও বাঙালিদের দমাতে পারবেন না ৷ হিটলারকে অনুসরণ করে এই বিল ৷ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের বদলে ডিটেনশন ক্যাম্প ৷ দেশ একনায়কতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছে ৷’
advertisement
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব-লড়াই। মোদি সরকারের হয়ে আসরে অমিত শাহ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সংবিধান বিরোধী বলে বিরোধীদের যে অভিযোগ তার জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেন উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে। মোদি সরকারের দাবি, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হওয়া সংখ্যালঘুদের এ দেশে নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যেই এই বিল। কোনও মামলা চললে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। যবেই আসুন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ৷
অনেকেরই প্রশ্ন, পাকিস্তানে আহমদিয়া, শিয়া মুসলিমরাও তো সংখ্যালঘু। তাঁরাও ধর্মীয় অত্যাচারে শিকার বলে অভিযোগ। তা হলে তাঁদের কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে অমিত সাহ বারবারই হিন্দু তাস খেলেছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকতে হাতিয়ার করে টার্গেট করেছেন বাংলার উদ্বাস্তু ভোট।
নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে বার্তা দেন, সব কা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাস। সেই সুরেই এ দিন বার বার মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন অমিত শাহ। বোঝানোর চেষ্টা করেন, এই বিল মোটেই মুসলিম বিরোধী নয়। এ দিন রাজ্যসভা থেকে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকেও আস্বস্ত করার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কতটা জানেন আপনি?
সোমবার লোকসভায় পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব বিল ৷ এই ক্যুইজ থেকে জেনে নিন এই বিল সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন