হুগলির হরিপাল থানা এলাকায় জন্ম। সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে ১৯৯০ সালে সিআরপিএফে যোগদান। উত্তর পূর্ব ভারতেও গুরুত্ব সহকারে পালন করেছেন নিজের দায়িত্ব। উলফা, কেএমএলএফ, এনএসসিএন-র মতও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো, একের পর এক নেতাদের আত্মসমর্পনে বাধ্য করেছেন দিলীপ মালিক। পদোন্নতির সাথে সাথে কাজের দায়িত্ব বেড়েছে। কখনও কোবরা বাহিনীরও দায়িত্ব সামলাতে হয়েছে। কখনও চাকরি সূত্রে চলে গিয়েছেন জম্মু কাশ্মীরেও।
advertisement
তবে দিলীপ মালিকের বিশেষ কৃতিত্ব বলে সিআরপিএফ কর্তারা মনে করেন মাওবাদী দমনে ওনার পরিকল্পনা। যখন ঝাড়গ্রামে ছিলেন তখন জনসংযোগ বাড়াতে গ্রামের শিশুদের নিয়ে একাধিক কর্মসূচি করেছেন। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস পেয়ে তাদের কাজে লাগিয়ে নেমেছেন মাওবাদী দমনে। কিষেণজি এনকাউন্টার যেমন উল্লেখ যোগ্য, তেমন এই জঙ্গলমহলে দুশোর বেশি মাওবাদী সদস্যকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনেছেন পরিকল্পনা করেই।
তাই এহেন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেলেন শৌর্য চক্র সম্মান। ২৬ জানুয়ারি ঘোষণা হয়েছিল। অপেক্ষা ছিল। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে। রাষ্ট্রপতি ভবনে মিলল শৌর্য চক্র। যা পেয়ে দিলীপ মালিক যেমন খুশি, তেমন আনন্দিত তার সহকর্মীরাও। বর্তমানে তিনি এখন ডেপুটি কম্যান্ডান্ট হিসেবে সিআরপিএফের ইন্টেলিজেন্স হিসেবে কর্মরত। এর আগেও তাঁর বীরত্বের জন্য মিলেছে একাধিক মেডেল ও সম্মান। মিলেছে পুলিস মেডেলও। এখনও জঙ্গলমহল সহ ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী গতিবিধির ওপর নজরদারি জারি রেখেছেন দিলীপ মালিক।
Amit Sarkar