প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের চাপেই জেতা আসন মেদিনীপুর ছেড়ে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হতে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে৷ শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে পরাজিত হতে হয় তাঁকে৷
এ দিন দিল্লিতে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশের সঙ্গে বৈঠক হয় দিলীপের৷ সেই বৈঠকেই দিলীপ জানিয়ে দিয়েছেন, দল চাইলে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হতেও তৈরি তিনি৷ বৈঠক শেষে দিলীপ বলেন, ‘খড়্গপুর আমার নিজের জায়গা। যদি লড়তে হয় ওখানে লড়ব। দল ঠিক করবে কী করব। লোকসভায় দল বলল যাও বর্ধমান,লাভ ক্ষতি কী হল সবাই জানেন।’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘চেয়ার দেওয়া হত না…’, দলের বৈঠকে কীভাবে অপমান? দিল্লিতে গিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে খড়্গপুর সদর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন দিলীপ ঘোষ৷ কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁকে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে বিজেপি৷ ভোটে জিতে দিলীপ সাংসদ হওয়ার পর বিজেপি-র টিকিটে খড়্গপুর সদর কেন্দ্রের বিধায়ক হন অভিনেতা হিরণ৷ যদিও এখনও খড়্গপুরে নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন দিলীপ৷ যদিও বিধায়ক হিরণের সঙ্গে দিলীপের সংঘাত বার বারই প্রকাশ্যে এসেছে৷
শেষ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষের মতো জনপ্রিয় মুখকে জিতিয়ে আনতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যদি তাঁর প্রস্তাব মেনে নেয়, তাহলে ২০২৬ সালে কপাল পুড়তে পারে খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণের৷ শেষ পর্যন্ত বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপের মতকে কতটা অগ্রাধিকার দেয়, রাজ্য বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ সমীকরণ কোন দিকে মোড় নেয়, এ সব কিছুর উপরেই গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে৷