যদিও দিব্যেন্দু এই অভিযোগ করলেও শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর জন্য তিন জন করে নিরাপত্তারক্ষীকে পাঠানো হয়েছে৷ তবে দিব্যেন্দুর জন্য রাজ্যের তরফে আর নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলেই খবর৷
এ দিনই দুই তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর জন্য ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ আজ, শনিবার দুপুরেই কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের বাসভবন শিশিরকুঞ্জে দুই সাংসদের জন্য ৬ জন করে মোট ১২জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান চলে আসেন৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে অবশ্য জানানো হয়েছে, আগের মতোই রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তাও পাবেন দুই সাংসদ৷ তবে শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী দু' জনেই দাবি করেছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোনও নিরাপত্তা চাননি৷
advertisement
দিব্যেন্দু অধিকারী এ দিন বলেন, 'আমরা কোথাও কোনও আবেদন করিনি৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের মধ্যে আমাকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মধ্যে৷ পাশাপাশি রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তা যেমন ছিল থাকবে৷ কিন্তু অদ্ভূত ভাবে আজকে সকালবেলা জানতে পারলাম, আমার রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নেওয়া হয়েছে৷ শিশিরবাবুর বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং নিরাপত্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ আমাকে কিছু জানানোও হয়নি৷ এটা তো ন্যূনতম ভদ্রতা৷ গতকাল রাত সাড়ে বারোটার সময় আমার নিরাপত্তারক্ষীদের ফোন করে ফিরে যেতে বলা হয়েছে৷ আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব, তিনি নিশ্চিত ভাবে এটা বিচার করবেন এবং আমাদের নিরাপত্তারক্ষী ফিরিয়ে দেবেন৷ এই আবেদন তাঁর কাছে রাখব৷ বর্তমানে এই রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে অভাব বোধ করছি৷'
দিব্যেন্দু যখন এই মন্তব্য করেন তখনও তাঁর জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এসে পৌঁছয়নি৷ তবে এ দিনই শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারীর জন্য ফের তিন জন করে নিরাপত্তারক্ষী পাঠানো হয় রাজ্য পুলিশের তরফে৷
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাবা ও ভাইকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্তে নতুন করে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হল৷ গত ডিসেম্বর মাসে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শিশির এবং দিব্যেন্দুর বিজেপি যোগের জল্পনা চরমে পৌঁছয়৷
শাসক দলের সঙ্গে কাঁথি এবং তমলুকের সাংসদের সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন হয়েছে৷ যদিও সরকারি ভাবে তৃণমূল ছাড়েননি দু' জনের কেউই৷ দিব্যেন্দু অধিকারী দলবিরোধী কোনও মন্তব্য না করলেও শুভেন্দু নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার পর শিশির অধিকারী নিজের দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছিলেন৷ শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সভাতেও হাজির ছিলেন তিনি৷ যদিও এর পরেও তৃণমূলের তরফে শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি৷
Sujit Bhoumik