ঘটনার সূত্রপাত দিন-কয়েক আগে! রাতে বাড়ির সামনে মাটি খুঁড়তেই প্রায় অজ্ঞান হয়ে যেতে বসেছিল গুডিমেটলা গ্রামেরই এক পরিবার। মাটির নীচে ও কী চকচক করছে? অন্ধকারেও আলো ঠিকড়ে বার হচ্ছে! কাছে যেতেই ঘাম ছোটার যোগাড়! মাটির নীচে জ্বলজ্বল করছে একটি ৬মুখি হিরে। হিরেটির দাম প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। পরিবারের সদস্যরা হিরেটি স্থানীয় এক হিরে ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। তিনি ৪০ লক্ষ টাকা দিতে চান। কিন্তু আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় পরিবার হিরেটি বিক্রি করেনি।
advertisement
কৃষ্ণা নদীর তীরে এই গ্রামে হিরে খোঁজার চল নতুন নয়। প্রতিবছরই বর্ষাকালে স্থানীয়রা হিরের খোঁজে গ্রাম ও গ্রামের আশপাশের এলাকায় মাটি খোঁড়া শুরু করেন। যদি হিরে পাওয়া যায় এই আশায়! স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এই এলাকায় প্রচুর হিরে বহুকাল ধরে মাটির তলায় পোঁতা আছে। যে পরিবার ওই বিশাল হিরেটির খোঁজ পান
মাটির নীচে হিরে মিলেছে, এই খবর দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। গুডিমেটলা গ্রামে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে! সবাই মাটি খুড়তে লেগেছে! যদি ফের কারও বরাতে হিরে মেলে! এ’কথাও চাউড় হয়, গ্রামের আরও দুই বাসিন্দাও নাকি মাটির তলা থেকে ২ টুকরো হিরে পেয়েছে। এরপরই আর বসে থাকেনি আশপাসের এলাকা, মায় রাজের অন্য প্রান্তের মানুষজন। সবাই ছুটে এসেছে সেই গ্রামে।
সময় নষ্ট না করে মাটি খুঁড়তে লেগে পড়ছেন সকলে। যদি হিরে পেয়ে যান। রাতারাতি গ্রামটি হিরের গ্রাম নামে পরিচিত হয়ে গিয়েছে।