তাহলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস যে নিরাময়যোগ্য সেটা বোঝা গেল। কিন্তু কীভাবে? চিকিৎসকরা বলছেন, একবার ডায়াবেটিস হলে, এমনকী সেটা যদি প্রাথমিক পর্যায়েও থাকে এবং রোগী যদি ডায়েট এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন না নেন তাহলে ডায়াবেটিস নিরাময়ের কোনও আশা নেই।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: বর্তমান সময়ে জটিল জীবনযাত্রা। ফাস্ট ফুড খাওয়াদাওয়া, রাত জাগা থেকে শরীরের উপর একাধিক অত্যাচার চলতেই থাকে। এতে যে রোগব্যাধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, বলাই বাহুল্য। চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাত্রাইয় আমুল বদল আনতে হবে। তবেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস। চিকিৎসকরা আরও বলছেন, যাঁদের বাবা-মা উভয়ই ডায়াবেটিসের রোগী অর্থাৎ জিনগত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন বা অসম্ভব মনে হতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত চর্বির কারণে যাঁরা ডায়াবেটিক হন তাঁদের বিএমআই ২৩-এর কম হলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাল টুকটুকে ঠোঁট থাকবে ১২ ঘণ্টা! লিপস্টিকের বদলে লাগান এই দ্রব্য়
কাদের ডায়াবেটিস সেরে যায়: যাঁদের ওজন বেশি কিংবা স্থূল, জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে তাঁরা ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত টাইপ ২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। এঁরা ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেশি খায়। বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট, যা রক্ত প্রবাহে উচ্চ ইনসুলিনের মাত্রার দিকে পরিচালিত করে। ফলে পেটের চারপাশে চর্বি জমে। এর ফলে শরীরের কোষগুলিতে উচ্চ ইনসুলিনের মাত্রার দিকে পরিচালিত করে।
আরও পড়ুন: বিছানায় পুরুষের এই ৫ বিষয় মহিলাদের সবচেয়ে বেশি অপছন্দের!
চ্যালেঞ্জ কী: বড় চ্যালেঞ্জ হল যে বেশিরভাগ রোগীরা দুটি শ্রেণীর অ্যান্টিডায়াবেটিক ওষুধ সালফোনাইলুরিয়াস এবং ইনসুলিন গ্রহণ করেন যা উভয়ই ইনসুলিনের অ্যানাবলিক প্রকৃতির কারণে ওজন বাড়িয়ে তোলে। চিকিৎসকরা বলেন, বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) ২৩-এর নিচে আনতে পারলে ৩০ শতাংশ রোগীরই ডায়াবেটিস সেরে যাবে। এছাড়া, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরের চর্বি কমানো এবং সঠিক খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ঠিকঠাক হলেই যে কেউ ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।