প্রধানমন্ত্রীর সেই আহ্বানকেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, "স্বাধীনতা দিবসে আমার প্রোফাইল পিকচার খুঁজছি। যদি আপনাদের কারও কাছে সাভারকার, মুখার্জি, গোলওয়ালকার, হেডগেওয়ারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার ছবি থাকে দয়া করে আমায় পাঠাবেন। গত ৫০ বছর ধরে নিজেদের সংগঠনের সদর দফতরে তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনি আরএসএস।"
advertisement
আরও পড়ুন: 'হর ঘর তিরঙ্গা'য় অংশ নিলেন মোদির মা! জাতীয় পতাকা বিলি করলেন হীরাবেন মোদি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' উপলক্ষে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি লাগিয়েছেন সংঘ চালক মোহন ভগবত। শনিবার আরএসএসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ডাক দেওয়া হল 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে' অংশ নেওয়ার। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ যাতে ঘরে ঘরে পতাকা তোলেন, সেই বিষয়টিও বলা হল।
আরও পড়ুন: তিরঙ্গা মিছিলে গরুর গুঁতো, গুজরাতের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল গরু
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ও নানা মহলে একটি আলোচনা বেশ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। তার মধ্যে রয়েছে এটি যে দলীয় পতাকা ছাড়া আরএসএস-এর দফতরে আর কোনও পতাকা সর্বোচ্চ মর্যাদায় তোলা হয় না। তবে সঙ্ঘের বর্তমান অবস্থান ও ট্যুইটে সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিতেই দেখা গেল।
এর আগে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছিলেন ট্যুইটারে। সেখানে দেখা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেননি মোহন ভাগবত, তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে তাঁর নিজেরই ছবি রয়েছে। এ ছাড়া আরএসএসের দলীয় ট্যুইটার হ্যান্ডেলেও ডিসপ্লে পিকচার রয়েছে সঙ্ঘের নাম ও পতাকা। তার পরই তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।