নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে উর্জিত পটেল এবং অর্থমন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে PAC -এর প্রশ্নপত্র ৷ এই ইস্যুতেই ২০ জানুয়ারি একটি বৈঠক ডেকেছে PAC ৷ তাতে উপস্থিত থাকবেন আরবিআই গর্ভনর উর্জিত প্যাটেল, অর্থসচিব অশোক লাভাসা ও কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস ৷
PAC চেয়ারম্যান এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কেভি থমাস সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান, ‘আমরা এখনও কোনও প্রশ্নেরই উত্তর পাইনি ৷ আশা করছি, ২০ তারিখের মধ্যেই ওরা নিজেদের জবাব পাঠাবেন ৷’
advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ডেকে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে PAC চেয়ারম্যান বলেন, ‘নোট বাতিল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদধারী, যে কোনও ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানোর অধিকার রয়েছে কমিটির ৷ তবে ২০ তারিখের বৈঠকে আরবিআই গর্ভনর ও এই আধিকারিকরা সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে আমরা প্রধানমন্ত্রীকেও ডেকে পাঠাতে পারি ৷ অবশ্যই সমস্ত কমিটির সদস্যদের সম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷’
PAC চেয়ারম্যান কেভি থমাসের বক্তব্য, মোদি বলেছিলেন নোট বাতিলের ৫০ দিন পর, ডিসেম্বরের শেষে দেশে নগদ সঙ্কটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে ৷ কিন্তু বাস্তবে তা না হওয়ায় নোট বাতিল সিদ্ধান্তের সঙ্গে যেসব উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিকরা জড়িয়ে রয়েছেন তাদের ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় PAC কমিটি ৷ ৫০০ ও ১০০০-এর নোট বাতিল সিদ্ধান্তে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কী প্রভাব পড়েছে তা নিয়েও আলোচনা করা হবে পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির বৈঠকে?
PAC চেয়ারম্যান এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কেভি থমাসের দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের মান বাঁচাতে দেশকে ভুল পথে পরিচালিত করছে ৷ নিজের ভুল সিদ্ধান্তকে ক্রমাগত বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে ঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন ৷’
গত বছরের ৮ নভেম্বর রাত আটটায় আচমকাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশ্যে বার্তায় ৫০০ ও ১০০০-এর সমস্ত নোট বাতিল করার ঘোষণা করা হয় ৷ রাতারাতি অচল হয়ে যায় দেশের অর্থনীতিতে থাকা ৫০০ ও ১০০০-এর সমস্ত নোট ৷ নগদ সঙ্কট দূর করতে এর দু’দিন বাদেই বাজারে আসে ২০০০ টাকার নতুন নোট ৷ পরে ধাপে ধাপে খুচরোর সমস্যা মেটাতে বাজারে আসে নতুন ৫০০ টাকার নোট ৷