ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, গ্রাহক টানতে এখন অনেক বেশি পরিশ্রম ও প্রয়াস করতে হচ্ছে যৌনকর্মীদের ৷ তা সত্ত্বেও এই এলাকায় কোনওরকম প্রতিবাদ দেখা যায়নি ৷ একজন জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ থেকে তাদের ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে ৷ গ্রাহকরা পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিয়ে এল তাদের ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে মেয়েরা ৷ কারণ এই পেশায় সমস্তটা নগদ টাকার উপর চলে ৷ এখানে ধারের কোনও ব্যবপার নেই ৷
advertisement
নোট বাতিলের পর নতুন গ্রাহক আসা তো দুরের কথা, পুরনো গ্রাহকরা অনেক কম সংখ্যায় আসছেন ৷
এই এলাকার বেশিরভাগ যৌনকর্মী গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০০-৩০০ টাকা নিয়ে থাকেন ৷ এর থেকে অর্ধেকটাকা সুপারভাইজার রেখে দেন ৷ পাশাপাশি এজেন্টদেরও ভাগ দিতে হয় ৷ যৌনকর্মীদের কাছে নামমাত্র টাকা আসে ৷ তাও আবার সুপারভাইজারের কাছে জমা থাকে ৷ গ্রাহকদের কাছ থেকে যে টিপস পায় সেটা নিজের কাছে রাখে তারা ৷ গ্রাহকরা আসা বন্ধ করে দেওয়ায় এখন সেটাও জুটছে না তাদের ভাগ্যে ৷
নোট সংকটের জেরে জিবি রোডের ৪৫০০ টাকার যৌনকর্মীর জীবনে রোজগারের অভাবে সমস্যা দেখা গিতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই ৷ এর জেরে অনেকেই অন্য পেশার খোঁজ করতে শুরু করে দিয়েছে ৷
এর থেকে থেকে কিছুটা বিপরীত চিত্র দেখা গেল কলকাতার সোনাগাছিতে ৷ নোট বাতিলের জেরে যখন দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে সেখানেই রমরমিয়ে চলছে সোনাগাছির ব্যবসা ৷ খুচরোর অভাবে যেখানে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত সেখানেই চুটিয়ে ব্যবসা চলছে নিষিদ্ধপল্লীতে ৷ মোদির ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলর প্রভাব পড়েনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় রেড লাইট এলাকায় ৷
দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি’র চিফ মেন্টার ভারতী দে জানিয়েছেন, ‘সোনাগাছির ব্যবসায় নোট বাতিলের কোনও প্রভাবই পড়েনি ৷ এর মূল কারণ সোনাগাছির যৌন কর্মীরা নোট বাতিল হওয়ার পরও কাস্টমারদের কাছ থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিচ্ছেন ৷ পরে যৌনকর্মীদের জন্য তৈরি উষা মাল্টিপার্পাস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সেই টাকা ভাঙিয়ে নিচ্ছেন তারা ৷