উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েও পিছিয়ে থাকে নেই। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েও-তে প্রথম ভিস্তাডোম পরিষেবা ২৮ অগাস্ট, ২০২১-এ ০২টি সেকশনে চালু করা হয়, যেমন, গুয়াহাটি-নিউ হাফলং এবং নিউ জলপাইগুড়ি- আলিপুরদুয়ার। উত্তর-পূর্ব এবং উত্তরবঙ্গ অঞ্চলের পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচারের জন্য এই রুটে এই দুটি পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। এই ধরনের বিশ্বমানের পরিষেবার প্রবর্তন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় অঞ্চলের পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। উভয় অঞ্চলের অনবদ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকা সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পকে আরও অধিক উন্নীত করা যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন– তিনটের মধ্যে একটা পাসপোর্ট জাল, কোনটা বলতে পারবেন ৯ সেকেন্ডের মধ্যে?
ভিস্তাডোমের প্রবর্তন স্থানীয় শিল্পগুলিকে অত্যন্ত উপকৃত করেছে কারণ পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে, রাজস্ব আয় হয়েছে এবং বিশ্বস্তরে দেশীয় পণ্যের প্রচারে সহায়তা করেছে। ডিমা হাসাওতে, গুয়াহাটি-হাফলং ভিস্তাডোম পরিষেবার প্রবর্তন স্থানীয় পর্যটন শিল্পকে উত্সাহিত করেছে যা কোভিড বিধিনিষেধের পরে হ্রাস পেয়েছিল। এই অঞ্চলে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক আসার সাথে সাথে বিভিন্ন সেক্টরের লোকদের একটি বিশাল অংশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হয়েছে। অতুলনীয় সুবিধার কথা মাথায় রেখে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই অঞ্চলের অনাবিষ্কৃত পর্যটন এলাকাগুলিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য আগরতলা-জিরিবাম, গুয়াহাটি-নাহরলগুন এবং সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়ার মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে দ্বারা আরও ভিস্তাডোম কোচ চালু করা হয়েছে। কুলিক এক্সপ্রেস নামে আরও একটি ট্রেনে সম্প্রতি একটি ভিস্তাডোম কোচ প্রদান করা হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, পর্যটন শিল্প শুধু রাজস্ব এবং নতুন কাজের সুযোগই তৈরি করে না বরং এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নও বাড়ায়। স্থানীয়দের অর্থনৈতিক মান অত্যন্ত উপকৃত হয় এবং ভিস্তাডোম কোচগুলি আরও পর্যটনের প্রচার এবং আকর্ষণ করার জন্য একটি আশীর্বাদ হিসাবে কাজ করে কারণ উত্তর-পূর্ব এবং উত্তরবঙ্গ উভয় অঞ্চলেই এমন অদেখা জায়গা রয়েছে যেগুলি একজন পর্যটক কেবল স্বপ্ন দেখতে পারেন এবং রেল হল দেশের পরিবহণের সবচেয়ে সংযুক্ত মাধ্যম যা অদেখা সৌন্দর্য অন্বেষণ করতে সাহায্য করে।