পরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের কাছে ওই মহিলা দাবি করেন যে তাঁর স্বামী ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেছেন৷ কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মোহাম্মদের স্ত্রীর দাবি ধোপে টেঁকেনি৷ কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওরকম আঘাত কেউ নিজেই নিজেকে করতে পারে না৷ ফলে সব সন্দেহ গিয়ে পড়ে মৃতের স্ত্রীর উপরে৷ এর পর, পুলিশ একটি খুনের মামলা দায়ের করে এবং তদন্ত জোরদার করে।
advertisement
জিজ্ঞাসাবাদের পর মহিলার মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়৷ তদন্তকারীরা জানতে পারেন চ্যাট হিস্ট্রি ডিলিট করা নিয়ে গুগুলে সার্চ করেছিল অভিযুক্ত৷ অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বা সালফসসের মতো বিষাক্ত যৌগের ব্যবহার নিয়ে অনুসন্ধান করেছিলেন৷ জানতে চেয়েছিল এই যৌগের মারণ প্রভাব নিয়ে৷
এর পরই পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত৷ পুলিশের দাবি, অপরাধ স্বীকার করে ওই মহিলা৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় খুনের কারণ হিসেবে জানায় যৌন সঙ্গমের সময় স্বামী তাকে শারীরিক তৃপ্তি দিতে পারত না৷ তাই খুনের সিদ্ধান্ত নেয়৷ অভিযোগ, এলোপাথাড়ি ছুরির কোপে স্বামী মোহাম্মদ শাহিদকে খুন করে তাঁর স্ত্রী৷ এর পর পুলিশি তদন্তকে বিপথে নিয়ে যেতে পুরো ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে সাজানোর চেষ্টা করে৷
আরও পড়ুন : যৌ*ন স*ঙ্গ*ম অথবা ঋতুস্রাবের পরও ‘এটা’ হলে মহিলারা সাবধান! হতে পারে জরায়ুর ক্যানসার! জানুন এ রোগের লক্ষণ!
অভিযুক্ত মহিলা কার সঙ্গে চ্যাট করত ইন্টারনেটে? কেন সে ডিজিটাল এভিডেন্স মুছে ফেলতে চেয়েছিল? তদন্তে উঠে আসা এ সব প্রশ্ন খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ যে ছুরির কোপে খুন করা হয়, সেটি পুলিশ খুঁজে পেয়েছে৷ অভিযুক্ত মহিলাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে৷ অপরাধের পিছনে সম্পূর্ণ মোটিভ অনুসন্ধান করছেন তদন্তকারীরা৷