রনহোলার বাসিন্দা ধৃত পূজা কুমারী পুলিশি জেরায় জানিয়েছে ১১ বছরের দিব্যাংশের জন্য তার প্রেমিক জিতেন্দ্র নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিচ্ছিলেন না। ফলে এই পরিস্থিতিতে দিব্যাংশকে তার প্রেমের পথে বাধা হিসেবে মনে হয়েছিল পূজার।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএলকে হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ খবর পায়, একজন বালকের দেহ আনা হয়েছে। যার গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন আছে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে ওই ছেলেটির বাড়িতে শেষ বার পূজাকেই প্রবেশ করতে দেখে। পুলিশের অনুমান, ঘুমন্ত অবস্থায় দিব্যাংশকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর তার দেহ ডিভানের বক্সে লুকিয়ে রাখে পূজা।
advertisement
শোনা গিয়েছে ২০১৯-এর অক্টোবরে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে জিতেন্দ্র ও পূজা। কিন্তু প্রথম বিয়ের ডিভোর্স হয়নি বলে পূজাকে বিয়ে করতে পারেননি জিতেন্দ্র। একটি বাড়ি ভাড়া করে লিভ ইন করতেন তাঁরা। পূজাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র যে ডিভোর্স হয়ে গেলেই তিনি বিয়ে করবেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন ভাড়াবাড়িতে মাঝে মাঝেই তীব্র বাদানুবাদ হত দু’জনের। ঝগড়ার জেরে গত ডিসেম্বরে প্রেমিকা পূজাকে ছেড়ে স্ত্রীর কাছে চলে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। এর পরই ভয়ঙ্কর হিংস্র হয়ে ওঠে পূজা। সে নিশ্চিত ছিল, ছেলের জন্যই তাকে ছেড়ে স্ত্রীর কাছে চলে গিয়েছেন প্রেমিক। তার পরই সে প্রেমিকের সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করে।