শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়েছে দিল্লির ৭০ টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। বেশকিছু বুথে অবশ্য তার পরেও ভোট নেওয়া হয়েছে। কারণ যারা ভোটের লাইনে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের ভোট নেওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ভোটের হার বলা হয়েছিল ৫৫% কাছাকাছি। সাধারণত কত শতাংশ ভোট পড়েছে তা ভোটের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দেয় কমিশন। রবিবার বিকেলেও তা না জানানোয় চক্রান্তের অভিযোগ তোলে আপ। এর পরেই কমিশনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্যুইট করেন আপ সুপ্রিমো।
advertisement
সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তোলেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং। তারপরেই সন্ধ্যা বেলা সাংবাদিক সম্মেলনে সাড়ে ২৫ ঘন্টা পরে জানানো হয় ভোটের হার। ভোটের দিন রাতে অবশ্য জানা গিয়েছিল রাত সাড়ে ১০ নাগাদ ভোটের হার ৬১.৪৬ শতাংশ। রবিবার অবশ্য জানানো হল ভোট পড়েছে ৬২.৫৯ শতাংশ। যা অবশ্য ২০১৫ দিল্লি বিধানসভার ভোটের যা হার ৬৭.৫ শতাংশের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ কম। তাই অরবিন্দ কেজরীওয়ালের প্রশ্ন, "এটা একটা ধাক্কা। নির্বাচন কমিশন করছেটা কী? ভোটের এত ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন এখনও তারা ভোটের হার জানাচ্ছে না।"
আপ নেতা সঞ্জয় সিং অবশ্য এর মধ্যে চক্রান্তের অভিযোগ তুলছেন। তার বক্তব্য, "দিল্লিতে ৭০ আসনের বিধানসভা ভোট হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যে এর চেয়ে বেশি আসনের ভোট হয়। সেখানে ভোটের দিনই ফল জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি লোকসভা ভোটেও তাই হয়। কিন্তু দিল্লির ভোটের পরের দিনেও কমিশন তা জানাতে পারছে না। এর অর্থ, ভেতরে ভেতরে কোনও কিছু চলেছে।"
অন্যদিকে শনিবার ভোটের দিন কমিশনের দেওয়া তথ্য আর অ্যাপের দেওয়া তথ্য অধিকাংশ সময় মেলেনি। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি বিরোধীরা। অন্যদিকে বিজেপি কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা অবধি ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের নিয়ম মেনে ভোট নেওয়া হয়েছে। যদিও ২০১৩ ও ২০১৫ তুলনায় ভোট কম পড়ায় চিন্তা আছে দুই শিবিরের। ২০০৮ সালে ভোটের হার ছিল ৫৭.৫৮ শতাংশ। ২০১৩ বিধানসভা ভোটে ছিল ৬৫.৬৩ শতাংশ ও ২০১৫ বিধানসভা ভোটে তা ছিল ৬৭.০৫ শতাংশ।
ABIR GHOSHAL