কেন্দ্রীয় সরকারের দফতর খোলা রয়েছে। চলছে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এমনকি খোলা রয়েছে স্কুলের দরজাও! কচিকাঁচা শিশুদের হাত ধরে স্কুলের দরজায় হাজির অভিভাবকরা। কারণ, পেরেন্ট-টিচার মিটিং। কোনও স্কুলে আবার রীতিমতো দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও চলছে। কোথাও আবার নবম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার জন্য স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অর্থাৎ স্কুল খোলা। কিন্তু, গত শনিবার সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে দিল্লি দূষণ নিয়ে বিশেষ শুনানির পর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সোমবার থেকে আগামী ৭ দিন স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- সপ্তাহে ৩দিন নয়! প্রতিদিন ছুটবে এনজেপি-আলিপুরদুয়ার ভিস্টাডোম কোচ
ওদিকে কেন্দ্রীয় দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আগামী বেশ কিছুদিন শিশুদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এখন প্রশ্ন তাহলে স্কুল খোলা কেন? শুধু কি এই প্রশ্নই? না। কেজরিওয়াল সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর আরও কিছু ছবি ধরা পড়েছে নিউজ এইট্টিন বাংলার ক্যামেরায়। তা হল, কেজরিওয়াল সরকার যখন বলছে আগামী এক সপ্তাহ সমস্ত সরকারি দফতরে একশো শতাংশ "ওয়ার্ক ফ্রম হোম",অর্থাৎ সরকারি দফতরও বন্ধ থাকবে, তখন, দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সরকারি দফতরে দিব্বি কাজ চলছে আগের মতোই।
দূষণ নিয়ন্ত্রণের নিয়মকে তোয়াক্কা না করার ছবি আরও আছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার জানায়, ১৪ থেকে ১৭ই নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে সমস্ত নির্মাণ কাজ। কিন্তু, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র একেবারে রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি ভবনের দোরগোড়ায় উল্টো ছবি ধরা পড়ে। পুরোদস্তুর কাজ চলছে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে। আর যার ফলে শীর্ষ আদালতের উদ্বেগ সত্ত্বেও রাজধানী দিল্লির বায়ু দূষণ (Delhi Pollution) আটকে রয়েছে সেই তিমিরেই। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ৪ রাজ্যের মুখ্য সচিবদের নিয়ে যখন আপতকালীন বৈঠকে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তখন দিল্লির গড় বায়ু মান ৩৯৬। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাপকাঠিতে যা অত্যন্ত খারাপ।
RAJIB CHAKRABORTY