যদিও প্রায় এক সপ্তাহ পর এদিন দিল্লির আকাশে সূর্যের দেখা মিলেছে। রোদ উঠেছিল দিনভর। লোধি রোড, জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, আইটিও-সহ একাধিক জায়গায় এয়ার কোয়ালিটি ইণ্ডেক্স ছিল মোটামুটি সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি। যা অত্যন্ত খারাপ হিসেব বিবেচিত হয়। এই পরিস্থিতিতে এদিন সর্বোচ্চ আদালতে বায়ু দূষণের বেশিরভাগ দায় গিয়ে পড়েছে কেজরিওয়াল সরকারের ঘাড়েই। লকডাউনের প্রস্তাব মেনে নিতেও যে সরকারের আপত্তি নেই, তাও জানানো হয়েছে আদালতে। কার্যত তুলোধোনার শিকার হতে হয়েছে দিল্লি সরকারকে। রেহাই পয়নি কেন্দ্রীয় সরকারও।
advertisement
আরও পড়ুন - Rape by 400 people: ৪০০ মানুষ মিলে নাবালিকাকে ধর্ষণ, পুলিশও ছাড়েনি, করুণ কাহিনী নিজের মুখে বয়ান
সোমবার কেন্দ্রের তরফে দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে তিন দফা পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতকে। প্রথমত, আগেকার মতো সপ্তাহের দিন নির্দিষ্ট করে জোড়-বিজোড় নম্বর প্লেটের গাড়িকে রাস্তায় নামার অনুমতি দেওয়া। দ্বিতীয়ত, দিল্লিতে ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করা। তৃতীয়ত, লকডাউন শুরু করা। শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় দিল্লি সরকার বলেছে, ‘স্থানীয় স্তরে দূষণের মাত্রা কমাতে সম্পূর্ণ লকডাউনের মতো কড়া পদক্ষেপ করতে সবরকম ভাবে তৈরি রয়েছে দিল্লি সরকার। কিন্তু, এই পদক্ষেপ তখনই সম্পূর্ণ কার্যকর হবে যখন জাতীয় রাজধানী ক্ষেত্র এবং তার পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও লকডাউন লাগু করা হবে। কারণ, দিল্লি শহরের যা আয়তন, তাতে শুধু দিল্লিতে লকডাউন করা হলে বায়ু দূষণে তার খুব একটা প্রভাব পড়বে না।’
আরও পড়ুন - Liquor Price Slash: আজই সেই দারুণ দিন, এক ধাক্কায় ‘এতটাই’ দাম কমছে বিলিতি মদের
মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির মুখ্য সচিবদের নিয়ে আপৎকালীন বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণ, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সেইসঙ্গে কেন্দ্র, দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দিয়েছে। এখানেই নানা মহলের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকার ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু করতে টালবাহানা করছে কেন?
RAJIB CHAKRABORTY