মহেশ রাজস্থানের নাগৌর জেলার বাসিন্দা৷ গত ১৩ ডিসেম্বর ঘটনার দিন বাকি পাঁচজনের সঙ্গে মহেশও দিল্লিতে এসেছিল৷ ওই দিনই লোকসভার গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেয় দু জন৷ সংসদের বাইরেও স্লোগান দেওয়ার সময় এক মহিলা সহ আরও দু জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে পালিয়ে রাজস্থানে মহেশের ডেরাতেই গা ঢাকা দিয়েছিল এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ললিত ঝা৷ ললিতের সঙ্গে মিলে মহেশও ঘটনার পর প্রথম ধৃত চার জন অভিযুক্তের মোবাইল ফোনগুলি নষ্ট করেছিল বলেও জানা গিয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: শিশুদের খুনের পর মাংস রান্না করে খাওয়া! পাকিস্তানে জালে নরপিশাচ
ঘটনার দিন সংসদ ভবনের বাইরে থেকে গ্রেফতার নীলম দেবীর সঙ্গেও যোগ ছিল মহেশের৷ গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এসে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ললিত এবং মহেশ৷ সরকারি ভাবে ললিতকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়৷ মহেশের এক সম্পর্কিত ভাই কৈলাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ৷ কিন্তু তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি৷
গত ১৩ ডিসেম্বর ২০০১ সালে হওয়া সংসদ হামলায় বর্ষপূর্তির দিন লোকসভা অধিবেশন কক্ষের মধ্যে ভিজিটর্স গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেয় সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবক৷ ক্যানিস্টার থেকে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে দেয় তারা৷ একই সময়ে সংসদ ভবনের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয় অমল শিন্ডে এবং নীলম দেবী নামে দু জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তারাও রঙিন ধোঁয়া ছড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে৷
পুলিশ আদালতে দাবি করেছে, দেশের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করতেই এই গোটা পরিরল্পনা করেছিল অভিযুক্তরা৷ যাতে সরকার তাদের সব দাবি মেনে নেয়৷ ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্যও আদালতের কাছে পুলিশ অনুমতি চাইবে বলে সূত্রের খবর৷ এই গোটা পরিকল্পনার পিছনে বিদেশি কোনও শত্রু রাষ্ট্রেরও আর্থিক সহযোগিতা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশ৷