কিন্তু, জি-২০ সম্মেলনের ঠিক আগে খোদ রাজধানীতে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার কেন সাঁটানো হল? এর পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছে দিল্লি পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, কোনও গঠনমূলক কাজ করতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিরোধীরা। গোটা ঘটনার জন্য আম আদমি পার্টি এবং তাঁদের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দায়ী করছে পদ্মশিবির।
advertisement
পাল্টা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তিলকে তাল করে দেখানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে আম আদমি পার্টি। তাঁদের দাবি, "মোদি হঠাও, দেশ বাঁচাও" সাধারণ একটি রাজনৈতিক স্লোগান। এর জন্য বেছে বেছে কেন আম আদমি পার্টির নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে?
প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে পোস্টার বিতর্কে রাজধানী তোলপাড় হওয়ার পর পরই আগামিকাল, বৃহস্পতিবার যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে থাকবেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানও। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের হেনস্থা করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। তাছাড়া সামান্য পোস্টারকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা চলছে। তাঁদের অভিযোগ, রাজধানীতে কার্যত জরুরি অবস্থা তৈরি করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: এবার কি গ্রিন হচ্ছে কলকাতার ইয়েলো ট্যাক্সি! নতুন করে কোন বদলের ইঙ্গিত?
ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে টুইট বার্তায় এই ঘটনার বিরুদ্ধে জবাব দিয়ে জানানো হয়েছে , 'এই পোস্টারে এত আপত্তিকর কী আছে যে, মোদীজি ১০০ এফআইআর দায়ের করেছেন? প্রধানমন্ত্রী মোদি, আপনি হয়ত জানেন না, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। একটা পোস্টার দেখে এত ভয়! কেন?'
উল্টোদিকে বিজেপির অভিযোগ, আম আদমি পার্টি বেআইনি কাজ করেছে। পোস্টারে ছিল না প্রিন্টারের নাম, লেখা হয়নি ঠিকানাও। সেই কারণেই বেআইনি পোস্টারের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে দিল্লি পুলিশ।
রাজীব চক্রবর্তী