TRENDING:

৩ তারিখেই ভাঙা হয়েছিল সার্ভার রুম, তাই ৫ তারিখের কোনও ছবিই রেকর্ড হয়নি, JNU কাণ্ডে দাবি দিল্লি পুলিশের

Last Updated:

তাই হামলাকারী শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি ৷ এই ঘটনার দায় বর্তেছে ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী সহ তাঁর অনুগামী বাম পড়ুয়াদের উপরই ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: JNU-তে হামলায় এখনও অধরা হামলাকারীরা।  JNU কাণ্ডে নয়া তথ্য দিল্লি পুলিশের ৷ ৩ তারিখ সার্ভার রুমে ভাঙচুর চালানোয় বন্ধ ছিল সিসিটিভি ৷ ফলে ৫ তারিখ অর্থাৎ রবিবার JNU ক্যাম্পাসে তাণ্ডবের কোনও ছবিই ধরা পড়েনি সিসিটিভিতে ৷ তাই হামলাকারী শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি ৷ এই ঘটনার দায় বর্তেছে  ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী সহ তাঁর অনুগামী বাম পড়ুয়াদের উপরই ৷ মঙ্গলবারই আক্রান্ত ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধেই FIR দায়ের করে দিল্লি পুলিশ ৷ ক্যাম্পাসে হামলার আগের দিন, শনিবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুমে ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে ঐশী-সহ কুড়ি জনের বিরুদ্ধে FIR। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ঐশী।
advertisement

রবিবার ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ-সহ ছাত্রছাত্রীদের উপরে হামলা চালায় মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীরা। লাঠি, রড নিয়ে চলে হামলা। ভাঙচুর-লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের ঘর। আহত হয় ঐশী সহ আরও ৩৪ জন পড়ুয়া ৷ সোমবার হাসপাতাল থেকে ফিরে ঐশী অভিযোগ করেন, তাঁদের খুঁজে খুঁজে মারা হয়েছে। আক্রমণ পূর্বপরিকল্পিত বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। বেছে বেছে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের ঘরে ভাঙচুর। এবিভিপি সমর্থকদের ঘর অক্ষত। হোয়াটসঅ্যাপে হামলার ছক। নম্বর চিহ্নিতের চেষ্টা পুলিশের। কিন্তু কোনও হামলাকারীদের ছবি না থাকায় থমকে তদন্ত ৷

advertisement

দিল্লি পুলিশের দাবি, বাম ছাত্রছাত্রীরা সার্ভার রুম ভেঙে ফেলায় তাণ্ডবের গুরুত্বপূর্ণ ছবিই রেকর্ড হয়নি ৷ কারণ জেএনইউ-এর পুরো সার্ভার সেন্ট্রালাইজড সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ৷ ভাঙচুরে ব্যাহত হয় পুরো প্রক্রিয়া ৷

মার খেলেন ঐশী ঘোষ। ঝরল রক্ত। পড়ল সেলাই। আর তাঁর বিরুদ্ধেই দায়ের হল এফআইআর। তবে, সেটা রবিবারের হামলার ঘটনায় নয়। তার আগের দিন সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগে। JNU -এর ছাত্র সংসদের সভাপতি, এসএফআইয়ের ঐশী ঘোষ-সহ কুড়ি জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ ৷ এফআইআর-এ দাবি করা হয়েছে, ৩ জানুয়ারি আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা সার্ভার রুম বন্ধ করে দেন। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা সেই সার্ভার চালু করতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করা হয়। সার্ভার রুমে ভাঙচুরও চালান বামপন্থী সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা।

advertisement

ঐশীদের বিরুদ্ধে ৩২৩ ধারায় মারধর,৩৪১ ধারায় জোর করে আটকে রাখা,৫০৬ ধারায় ভয় দেখানো এবং ৩৪ ধারায় একসঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ FIR দায়ের করা হয়েছে। সব ক’টি ধারাই জামিনযোগ্য ৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
গণেশের চায়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড়, এখানে চায়ের সঙ্গে ‘টা’ ফ্রি, আড্ডা মারার অভিনব সঙ্গী
আরও দেখুন

এই FIR নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। প্রশ্ন উঠছে, সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগ শনিবারের। তা হলে সে দিন না করে পরের দিন রবিবার কেন FIR দায়ের করা হল? সেটাও রাত ৮:৪৩। তখন মেরে ঐশীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা হলে কি হামলার ঘটনা লঘু করতেই আক্রান্ত ঐশী ঘোষদের বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর দায়ের? এই তত্ত্ব অবশ্য দিল্লি পুলিশ মানতে নারাজ। তাদের পাল্টা দাবি, শনিবার সার্ভার রুমে হামলার অভিযোগ ওঠার দিনই জেনারেল ডায়েরি করা হয়। তারপর অভিযোগ খতিয়ে দেখে FIR। আইন মেনেই কাজ করেছে পুলিশ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
৩ তারিখেই ভাঙা হয়েছিল সার্ভার রুম, তাই ৫ তারিখের কোনও ছবিই রেকর্ড হয়নি, JNU কাণ্ডে দাবি দিল্লি পুলিশের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল