উল্লেখ্য, এই বছরের জুলাই মাসে দিল্লিতে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (এনসিএস) অনুসারে, ঝাজ্জরে সন্ধে ৭টা ৪৯ নাগাদ ১০ কিলোমিটার গভীরে ৩.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রাত ৯টা নাগাদ একই এলাকায় ৪.৪ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা বাসিন্দাদের মধ্যে বিপুল আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
advertisement
দু- সপ্তাহ কাটতেই ফের ভূমিকম্প। সেই একই দেশে বিপর্যয়। মধ্যরাতে তীব্র ভূমিকম্পে ফের কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রবিবার মধ্যরাত ১টা নাগাদ আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ৬.৩। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত ভূমিকম্পে উত্তর সামাঙ্গান প্রদেশে ৭ জনের মৃত্যু এবং অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক USGS অনুসারে, মাজার-ই-শরিফ শহর এবং মাটির প্রায় ২৮ কিলোমিটার গভীরে খুলম শহরের কাছে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ১টা নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। ফলে বালখ প্রদেশ এবং আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর আফগানিস্তানের প্রধান এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহর মাজার-ই-শরিফ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে বেশ কাছেই ছিল।
এই ভূমিকম্প কেবল আফগানিস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না বরং তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং পাকিস্তান পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল। প্রতিবেশী চারটি দেশের মানুষ তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ‘জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস’ (জিএফজ়েদ)-এর তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম অংশে খুল্ম থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে ও ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৮ কিলোমিটার নীচে এই কম্পের উৎসস্থল। উত্তর সামাঙ্গান প্রদেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা।
২ মাস আগেই পাকিস্তান সীমান্তের কাছে পূর্ব আফগানিস্তানে শয়ে শয়ে মানুষের প্রাণ যায়। সেই আঘাতের রেশ না কাটতেই ফের আঘাত।
