নিক্কির গলায় মোটা তার পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর তাঁর দেহ ভরে রাখা হয় ধাবার বড় ফ্রিজারে। পুলিশের কাছে জেরায় সে জানিয়েছেন ৫ বছর আগে জানুয়ারি মাসে উত্তমনগরে তাদের দুজনের আলাপ। সেখানে একই কোচিং সেন্টারে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা। একই বাসে কোচিং ক্লাসে যাওয়া আসার পথে প্রেমে পড়ে নিক্কি ও সাহিল।
advertisement
আরও পড়ুন : ফের নৃশংস নারীহত্যা দিল্লিতে! প্রেমিকার নিথর দেহ উদ্ধার প্রেমিকের ধাবার ফ্রিজে
এর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নয়ডার গলগোটিয়া কলেজে আলাদা আলাদা শাখায় তারা ভর্তি হয়। থাকতে শুরু করে ভাড়ার ফ্ল্যাটে। লিভ ইন করার সময়ই মানালি, হৃষিকেশ, হরিদ্বার, দেহরাদুন-সহ একাধিক জায়গায় তারা বেড়াতেও যায়। কিন্তু এই সম্পর্কের পাশাপাশি বাড়িতে বিয়ে ঠিক হয়ে যায় সাহিলের। এটা মানতে পারেননি নিক্কি। পুলিশ জানতে পেরেছে তিনি বিয়ে করার জন্য চাপ দিতেন সাহিলকে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
আরও পড়ুন : শরীরে একাধিক ফ্র্যাকচার নিয়ে শয্যাশায়ী কনে, হাসপাতালে এসে বিয়ে করলেন বর
পুলিশের দাবি, জেরায় সাহিল জানিয়েছে ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মাঝের রাতে তার মোবাইলের ডেটা কেবল নিক্কির গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তার পর ধাবার ফ্রিজে রেখে দেয়। পর দিনই ছিল তার বিয়ে। প্রেমিকাকে খুন করে নিথর দেহ ফ্রিজে রেখে অম্লান বদনে সাহিল বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করে পরিবারের পছন্দ করা অন্য তরুণীকে।