এর পাশাপাশি আফতাবের কাজের জায়গা থেকে বেশ কিছু কালো পলিথিন উদ্ধার হয়েছে। এই পলিথিনগুলির সাহায্যেই দেহের টুকরোগুলি বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসত আফতাব।
পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অফতাব। তারপরে গুগল করে সে। সেখানে কীভাবে দেহ লোপাট করতে হয়, সেই বিষয়ে সন্ধান করে আফতাব। তারপরেই ধারালো সরঞ্জামগুলির সাহায্যে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে আফতাব। টুকরোগুলো যাতে পচন না ধরে তার জন্য ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজ নিয়ে এসেছিল আফতাব। সেই ফ্রিজেই টুকরোগুলি সংরক্ষণ করে রেখেছিল আফতাব। তারপরে প্রায় ১৮ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় সেই টুকরো গুলি ফেলে দিয়ে আসত আফতাব।
advertisement
তবে পুলিশের অনুমান, হত্যার সময়ে শ্রদ্ধার জামাকাপড় এমনকী নিজের পোশাক আফতাব কাছাকাছি কোনও ময়লা ফেলার স্থানে ফেলেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ দুটি জায়গাকে চিহ্নিত করেছে। এই দুটি জায়গা অফতাবের ফ্ল্যাটের খুব কাছে রয়েছে। পোশাকগুলি হাতে আসলে তদন্তে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, মিলল অনুমতি, কবে থেকে শুরু জোকা- তারাতলা মেট্রো পরিষেবা? সংশয়ের কারণ একটাই
তবে সমস্ত প্রমাণ জোগাড় করতে কিছুটা সমস্যা পেতে হচ্ছে। কারণ, শ্রদ্ধার মোবাইল ফোনের হদিশ এখনও মেলেনি। ফরেন্সিক টিমের দাবি, খুনের দিন শ্রদ্ধা এবং আফতাবের পোশাকে এখনও রক্তের দাগ থাকতে পারে। সেই পোশাকগুলোর সন্ধান মিললে তদন্ত প্রক্রিয়া আরও ভালো হবে। কিন্তু সেই পোশাকেরও সন্ধান এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন, বিধায়ক কেনাবেচা কাণ্ডে যোগ! বিজেপি-র শীর্ষ নেতা বি এল সন্তোষকে তলব করল তেলেঙ্গানা পুলিশ
জানা গিয়েছে, মোট ১৮টি প্যাকেটে করে দেহের টুকরো গুলো বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে সব কটি প্যাকেট আসেনি। শ্রদ্ধার মাথা বেশ কিছুদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছিল অফতাব। সেটিরও পরে হদিশ মেলেনি। এই মামলার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই। ৬ মাস পুরনো এই হত্যার প্রমাণ জোগাড় করতে কিছুটা সমস্যা পেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের।