দিল্লির পুর নির্বাচনে বিজেপির ১৫ বছরের রাজত্বে ইতি টেনে রমরমিয়ে জিতেছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পার্টি। কিন্তু তাতেও স্বস্তি কই। নির্বাচনে জিতলেও দিল্লি পুরসভার মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচন তো সেই ঝুলেই। তিন তিনবার চেষ্টা করেও মেয়র নির্বাচন করা যায়নি। মূল সমস্যাই ছিল দিল্লির উপরাজ্যপাল নির্বাচিত অল্ডারম্যানেরা।
আরও পড়ুন: বাবার দল-চিহ্ন সবই খোয়ালেন উদ্ধব! 'শিবসেনা' এখন থেকে একনাথেরই
advertisement
পুর নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচনের পদ্ধতিটা একটু জটিল। নিয়ম অনুযায়ী, পুর নির্বাচনের পরে ১০ জন অল্ডারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। চলতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও, দিল্লির উপ রাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা ১০ জন অল্ডারম্যান মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু, সমস্যা তৈরি হয়, যখন নির্বাচিত কাউন্সিলরদের আগেই এই মনোনীত সদস্যদের শপথগ্রহণ করানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: স্ট্রং-রুমে বন্দি জনতার রায়, ভোটের হারকে কি বদলে দেবে অঙ্ক? দমবন্ধ অপেক্ষা ত্রিপুরায়
আপ দাবি করে, এই ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথগ্রহণের আগে মনোনীত প্রার্থীদের শপথগ্রহণ নিয়মবিরুদ্ধ। তাছাড়া, মেয়র নির্বাচনে মনোনীত সদস্যদের ভোটাধিকারের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেও শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় আপ। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা দিল্লির নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে একতরফা ভাবে ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে মেয়র নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সিদ্ধান্তকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানান আপ-এর মেয়র পদপ্রার্থী শেলি।
শুক্রবার দিল্লির এমসিডি-র মেয়র নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মনোনীত সদস্যদের ভোটাধিকার থাকা উচিত নয়।