জানা গিয়েছে, এই মামলার সূত্রপাত ১৯৮৪ সালে৷ অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধের নাম সুরেন্দ্র কুমার৷ বর্তমানে তাঁর বয়স ৯০ বছর৷ বয়সের ভাড়ে ভেঙে পড়েছে ওই বৃদ্ধের শরীর৷ বয়সজনিত নানা রোগে কাবু তিনি৷ তার মধ্যেও কাঁপতে কাঁপতে হাজিরা দেন ওই অভিযুক্ত৷
সুরেন্দ্র কুমার নামে ওই বৃদ্ধ ১৯৮৪ সালে স্টেট ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চিফ মার্কেটিং ম্যানেজার পদে ছিলেন৷ সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে একটি সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ পেয়ে ফাঁদ পেতে সুরেন্দ্র কুমারকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে সিবিআই৷
advertisement
দীর্ঘ চার দশক ধরে সেই মামলাতেই আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ৷ ২০০২ সালে তাঁকে প্রথমবার দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাবাসের শাস্তি দিয়ে আদালত৷ যদিও এই নির্দেশের পর পরই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যান ওই অভিযুক্ত৷ তার পরেও অবশ্য আইনি জটিলতা মেটেনি৷ সেই মামলা চলতেই থাকে৷ অবশেষে ঘটনার প্রায় চল্লিশ বছর পর সেই মামলার নিষ্পত্তি হল দিল্লি হাইকোর্টে৷
নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপ্রক্রিয়ার এই দীর্ঘসূত্রিতার সমালোচনাই করেন বিচারপতি৷ ওই বৃদ্ধের গুরুতর শারীরিক অবস্থা এবং প্রায় দশক ধরে আদালতে আইনি জটিলতার যে ঝক্কি তাঁকে সামলাতে হয়েছে তা বিবেচনা করে একদিনের কারবাসের শাস্তি দেন বিচারপতি৷ যেহেতু আগেই ওই অভিযুক্ত এই শাস্তি ভোগ করেছেন, তাই এবার আর নতুন করে তাঁকে জেলে যেতে হয়নি৷ নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি আরও জানান, বিচার ব্যবস্থার এই দীর্ঘসূত্রিতা ন্যায়বিচারের পথে অন্যতম প্রধান বাধা৷