এই রায় থেকে বোঝা যায়, আদালত বর্তমান পর্যায়ে তাঁদের জামিনের জন্য পরিস্থিতি উপযুক্ত বলে মনে করেনি, সম্ভবত অভিযোগের গভীরতা ও তদন্তের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এমন নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। বিচারপতি নবীন চাওলা এবং শৈলেন্দ্র কৌরের একটি বেঞ্চ এই মামলায় রায় ঘোষণা করেছেন।
এই দুই বিচারপতির নেতৃত্বে আদালত শুধুমাত্র শরজিল ইমাম ও উমর খালিদের নয়, বরং আবদুল খালিদ, আথার খান, মহম্মদ সেলিম খান, শিফা-উর-রহমান, মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শাদাব আহমেদ – সব অভিযুক্তদের জামিন আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে। ৯ জুলাই আদালত অভিযোগকারী (প্রসিকিউশন) এবং প্রতিরক্ষা (ডিফেন্স) পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায় স্থগিত রেখেছিল।
advertisement
সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের সময় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল, সেই ঘটনায় ৫৩ জন নিহত হন এবং ৭০০-র বেশি মানুষ আহত হন। ওই দাঙ্গা ভারতজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সেটি এখনও পর্যন্ত দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল মামলাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Bar and Bench-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, উমর খালিদ, শরজিল ইমাম এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা আদালতে যুক্তি দেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন না হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের আটক রাখা হচ্ছে। তাঁরা উল্লেখ করেন, কিছু জামিনের আবেদন ২০২২ সাল থেকে বিচারাধীন, তবুও সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন- রেলকর্মীদের জন্য বড় সুখবর! বেড়ে গেল বিমার কভারেজ, কত কোটি হল জানেন?
অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে মূলত এই যুক্তিই তুলে ধরা হয় যে বিচার প্রক্রিয়ায় অকারণে দীর্ঘ করা হচ্ছে। তবে আদালত এই যুক্তি মেনে নেয়নি। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, যিনি এদিন দিল্লি পুলিশ-এর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন, জামিনের আবেদনের কড়া বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতে যুক্তি দেন, অভিযুক্তরা ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছিলেন। ফলে তাঁদের জামিন পাওয়ার অধিকার নেই।
তুষার মেহতার এই বক্তব্য আদালতের সামনে রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। এই মামলায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং জাতীয় সংহতি-কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সেই কারণেই আদালত জামিন না দেওয়ার সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছে।